শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহ, মাস বা বছরেও নির্বাচনের ফল না হতে পারে: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে মন্তব্য করে বেশ সাড়া ফেলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে তিনি ডাক যোগে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন। ডাক যোগে ভোট হলে তার বিরোধী দল ডেমোক্রাট পার্টি বেশি ভোট পেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ নিয়ে বেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। গতকাল শনিবার কাউন্সিল অব ন্যাশনাল পলিসির একটি সভায় নিজের বক্তব্যে এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি। খবর ফাস্ট পোস্ট, মেইল অনলাইন ও সিএনএন’র। 

ট্রাম্প বলেন, ‘ভোটের দিনই ফল ঘোষণার যে রেওয়াজ রয়েছে তা এ বার সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস, বছরের পর বছরও কেটে যেতে পারে। এরপরও হয়ত জানা যাবে না কে জিতেছেন আর কে হেরেছেন।’

করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে এর আগে নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ প্রস্তাবে তিনি নিজ দলের নেতাদেরও সমর্থন পাননি। জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের থেকে পিছিয়ে থাকার কারণেই চাপে পড়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিন ৩ নভেম্বরই ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে অন্তত ৫ কোটি মার্কিন নাগরিক ডাক-যোগে ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন। তবে এই ভোট গণনাতেই দীর্ঘ সময় কেটে যাবে বলে দাবি করছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ভোটে কারচুপি এবং ফল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি মামলাও পুরো প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি দীর্ঘায়িত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ট্রাম্পের এ আশঙ্কা অমূলক নয় বলেও বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন।

চলতি বছরের এপ্রিলের যে জরিপ করে বিভিন্ন সংস্থা তাতে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন অন্তত ৮ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন।

গতকাল ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটাই কেমন অলীক মনে হচ্ছে। ৫ কোটি ব্যালট-ভোটের জন্য আমরা আদৌ প্রস্তুত নই। দেশের পক্ষে এ এক অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি। গণতন্ত্রের পক্ষেও সমস্যাটা গুরুতর।’

অন্যদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যয় সঙ্কোচনসহ ডাক বিভাগে ট্রাম্প যে সব পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন তা আটকাতে ইতোমধ্যেই নেমেছেন ডেমোক্র্যাটরা। সরকারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ছয় রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়। একই সঙ্গে এ নির্বাচনে বিদেশের হস্তক্ষেপের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর