স্পোর্টস ডেস্ক : একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার খেসারতে স্বপ্ন ছোঁয়া হলো না চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি)। ফলে, নেইমার-এমবাপেদের চোখের জলে ভাসিয়ে শিরোপে ঘরে তুললো বায়ার্ন মিউনিখ।
রোববার লিসবনে অসাধারণ এ ম্যাচে কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাত বছর পর ট্রফি উঁচিয়ে ধরল জার্মান জায়ান্টরা।
খেলার শুরু থেকেই পিএসজি-বায়ার্নের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ছিল দেখার মতো। ১৯ মিনিটে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। কিন্তু, এমবাপের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে জালে জড়ানোর চেষ্টা করেও গোলরক্ষক ম্যানুয়াল ন্যুয়ারের অসাধারণ শটে সেবারে রক্ষায় পায় বায়ার্ন।
২২ মিনিটে দুর্ভাগ্য বায়ার্নের। রবার্ট লেভানডোস্কির ডি বক্সের মধ্য থেকে নেয়া মাটি কামড়ানো শট লেগে যায় পোস্টে। পরের মিনিটেই সংঘবদ্ধ আক্রমণে ফের সুযোগ ছিল পিএসজির। কিন্তু অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার চেষ্টা একটুর জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৩২ মিনিটে বায়ার্নের সহজতম সুযোগটি নস্যাৎ করেন কেইলর নাভাস। জিনাব্রির ক্রস থেকে ডি বক্সে উড়ে আসা বল গোলরক্ষকের একদম সামনে থেকে হেড করেছিলেন লেভানডোস্কি, নাভাস ঠিকই বলটা ধরে ফেলেন।
No description available.
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিএসজির সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। আন্দার এরেরার পাস থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে বল পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর মেরে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার। ০-০ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। ফলে, ৫৯ মিনিটে দেখা পায় কাঙ্ক্ষিত গোলের। ২০ গজ দূর থেকে জশোয়া কিমিচের ক্রস থেকে দারুণ নিচু হেডে ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি মিডফিল্ডার কিংসলে কোম্যান।
১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে পিএসজি। বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। কিন্ত শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ না দেখেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এ জয়ে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসালো মিউনিখের রাজারা। আর তা হলো লিভারপুলের সঙ্গে সমান ৬শিরোপায় তারা উঠে গেল ইউরোপ সেরার তালিকার তিন নম্বরে।