আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার মতো পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী পরিবারগুলোর মাঝে একটিতে জন্মগ্রহণ করার মাঝে নিঃসন্দেহে কিছু সুবিধা আছে, আর তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন বিল গেটস কন্যা জেনিফার।
এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান ২৪ বছর বয়সী জেনিফার গেটস, যিনি ‘জেন’ নামেই সমাধিক পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় প্রাপ্ত সুযোগগুলো ব্যবহার করে সেগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ লক্ষ্যের ব্যাপারে, যেন সেগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের এই পৃথিবীকে আরো কিছুটা ভালো স্থানে পরিণত করতে পারি।
জেনিফার গেটস জন্মের সাথে সাথেই সৌভাগ্যের মালিকানা হিসেবে পায় ১২.৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ। জেন গেটস এর পরিকল্পনা হচ্ছে তার হাতে থাকা সুযোগগুলো জনকল্যাণের কাজে ব্যবহার করার। অন্তত তার একটা অংশ চিকিৎসাবিদ্যায় ও পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে।
জেন জানান, বাবা-মা নিজেদের দাতব্য কাজ বাড়ি নিয়ে যাওয়াতেই হয়তো আমি পারিবারিক ডাক্তার হওয়ার প্রেরণা পাই। তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই রাতের খাবারের টেবিলে বাবা মায়ের মুখে শুনেছি শিশুদের পোলিও, এইচআইভি/ এইডস অতিমারির কথা।
বাবা-মা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জেন তাই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পৃথিবী জুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ও জীবনের মান উন্নত করার।
সাক্ষাৎকারে জেন বলেন, বাবা মা সবসময়ই আমাকে সমর্থন দেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন যে, যা কিছু করতে আমার ভালো লাগতো তা যেন মনোযোগ দিয়ে করি; সেটা গণিত, বিজ্ঞান, পড়া কিংবা লেখা যা’ই হোক না কেন। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে নিজের ইচ্ছের দিকে ছুটে চলতে তাদের দেওয়া দৃঢ়ভিত্তির বিশ্বাস আমাকে দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে।”
জেন বলেন, তার বাবা-মা খুবই পরিশ্রমী ও কর্মঠ মানুষ। তাদের জীবনে অবশ্যই অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে, কিন্তু তবুও তারা ক্রমাগত শিখে যাচ্ছেন এবং দৃঢ়তার সাথে সেই শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরো সুন্দর একটা স্থানে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
২০১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর জেনি এখন মেডিকেল ছাত্রী হিসেবে তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করছে নিউইয়র্কের ইচান স্কুল অব মেডিসিনে। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনিফারের বাবা-মা তাকে তার ক্যাম্পাসের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দিয়ে একটা বাড়ি কিনে দিয়েছে ২০১৭ সালে।
জেন একজন দক্ষ অশ্বারোহী, সে স্ট্যানফোর্ড থেকে বের হবার পর প্রতিযোগিতামূলক অশ্বারোহণে অংশগ্রহণ করেছিল এবং তাতে বাবা-মায়ের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন পান তিনি।