শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাস্কের দাম সাড়ে ৪ লাখ টাকা!

ডেস্ক নিউজ : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাস্কের ব্যবহার সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। নিজেকে ও অন্যকে নিরাপদ রাখতে মাস্ক পরা জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েছে ফেস মাস্কের। হিড়িক পড়েছে মাস্ক কেনার। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ধরনের মাস্ক উদ্ভাবনের।

বিশ্বে মাস্ক নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এ দিক থেকে ব্যবসায়ীরাও পিছিয়ে নেই। ক্রেতার আকর্ষণ বাড়িয়ে মাস্কের নিত্যনতুন ডিডাজাইন নিয়ে আসছেন তারা। মাস্কের নকশায় ভিন্নতা আনছে কোম্পানিগুলো। ‌মাস্ক ব্যবহার যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে তাই ব্যবহারকারীরাও এখন আকর্ষণীয় ও সুন্দর মাস্ক খুঁজছেন।

মাস্কের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পাল্লা দিতে মাঠে নেমেছে জুয়েলারি দোকানগুলোও। তারা মাস্ক তৈরিতে সোনা, রূপা, হীরাসহ দামি পাথর পর্যন্ত ব্যবহার করছেন। এতে করে একদিকে মাস্কগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে, তেমনি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এর দামও।

কিছুদিন আগে ভারতের পুনের এক ব্যক্তি সোনার মাস্ক পরে সবাইকে চমকে দেন। শঙ্কর কারাডে নামের ওই ব্যক্তির সোনার মাস্কের দাম পড়েছে তিন লাখ রুপির বেশি। এবার শঙ্করের মাস্ককে টেক্কা দিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে ভারতের গুজরাটের একটি জুয়েলারি দোকান। তারা হীরা বসানো মাস্ক তৈরি করছেন। মাস্ক তৈরিতে দুই ধরনের হীরা ব্যবহার করছেন। প্রতিটি মাস্কের দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ওই দোকানের মালিক দীপক চোকসি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের দোকানে এসেছিলেন এক ক্রেতা। লকডাউন উঠে যাওয়ায় তার বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তাই বর কনের জন্য একটু অন্য ধরনের মাস্ক বানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ওই ক্রেতা। গয়নার দোকানের মালিকের কথায়, ‘ওই ক্রেতার কথায় আমরা আমাদের ডিজাইনারকে বলি অন্য ধরনের মাস্ক বানিয়ে দিতে। তখনই হিরে দিয়ে মাস্ক বানানোর কথা মাথায় আসে। ওই ক্রেতারও এই মাস্ক খুব পছন্দ হয়েছে।’

নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, ‘মাস্কের কাপড়ের ক্ষেত্রে সরকারের গাইডলাইন মেনেই তৈরি করা হয়েছে এই মাস্ক। প্রয়োজনে ওই মাস্ক থেকে এসব হীরা খুলে নিয়ে পরে অন্য গয়নাও বানাতে পারবেন ক্রেতারা।’
সূত্র : দ্য ওয়াল।

এই বিভাগের আরো খবর