আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা তার সেই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবল কংগ্রেসেরই রয়েছে। প্রেসিডেন্টের হাতে এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই।
কাজেই ট্রাম্পের এই ধারনা উড়িয়ে দিয়েছেন তার সমালোচকেরা। এমনকি তার মিত্রদেরও কোনো সায় মেলেনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণের আস্থা নষ্ট করতে ট্রাম্পের সর্বশেষ নাটকীয় চেষ্টা হিসেবে এই প্রস্তাব পেশ করেছেন।
তারা বলছেন, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের খবর থেকে মানুষের মনোযোগ অন্যত্র সরিয়ে নিতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন চেষ্টা করছেন।
অনেক আইন বিশেষজ্ঞের অভিমত, বারবার তিনি যে সমালোচনা করছেন, তাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার সমালোচকদের আস্থা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন বহুমুখী সংকটের মধ্যে আছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দাও পিছু ছাড়ছে না। এদিকে বর্ণবাদ ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধেও দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।
ঠিক এ সময়ে টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার সকালে মহামন্দার পর থেকে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকোচনের খবর দিল মার্কিন সরকার। গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি ১০ শতাংশ কমে এসেছে। যেটা গত ৭০ বছরের মধ্যে রেকর্ড।