ডেস্ক নিউজ : হজের শেষ দিন (১৩ জিলহজ) পাথর নিক্ষেপর শেষে মিনা থেকে মক্কা আগমন করলে হাজিদেরে মূল্যবান সুগন্ধি দিয়ে সম্ভাষণ জানায় হারামাইনের প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
গতকাল রবিবার কাবা প্রাঙ্গণ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের ব্যতিক্রমধর্মী হজ। বিদায়ী তাওয়াফের পর হাজিরা মক্কা ত্যাগ শুরু করেন।
জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর কাবা প্রাঙ্গণে এসে বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফুল বিদা) করেন হাজিরা। এ সময় হাজিদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা হয়। তাওয়াফ ও সায়ির সময় নির্দিষ্ট স্থানে সারিবদ্ধভাবে চলাচল নিশ্চিত করা হয়।
বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফুল বিদা) হলো হজের সর্বশেষ কাজ। রাসুল (সা) বলেন, ‘আল্লাহর ঘরে তাওয়াফুল বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ না করে তোমাদের কেউ যেন চলে না যায়।’ এ হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, তাওয়াফের মাধ্যমে হজের সমাপ্তি হবে। তাই হজের শেষে কাবা ঘর সাত বার তাওয়াফ করা এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করা কর্তব্য।
বৈশ্বিক মহামারি করোনারোধে এবারের হজে সৌদির হজ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ছিল খুবই তৎপর। হজের কার্যক্রমে ছিল নানা রকমের বিধি-নিষেধ। হাজিদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব পর্যবেক্ষণে বেশ সচেতন ছিলেন কর্তৃপক্ষ।
সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সব হাজির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন পর্যন্ত কোনো হাজি রোগাক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হননি কেউ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে তাওয়াফের পর বিশেষভাবে জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ ও মসজিদ হারাম জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন ১০ বার করে ৩৫ শ পরিষ্কারকর্মী পরিষ্কার কাজ সম্পাদন করছে। এতে প্রায় ২৪ শ লিটার সেনিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সূত্র : আল আরাবিয়া