আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্ধকোটি ছাড়ানো করোনাক্রান্ত রোগীর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে আরও ১৩শ’ মানুষের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। এতে করে প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৬৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন করে ৬৩ হাজারের বেশি শনাক্তে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ৯৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যার বড় একটি অংশ ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, নিউ জার্সি, ইলিনয়েস ও জর্জিয়ার মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর।
তবে, ট্রাম্পের দেশে বেড়েছে সুস্থতার হার। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের অর্ধেক রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছেন। যার সংখ্যা ২৬ লাখ ১৭ হাজারের কাছাকাছি।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার সাড়ে ৫ লাখ হতে চলেছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২০৯ জনের।
ফ্লোরিডায় সংক্রমণ এক লাফে ৫ লাখ ১৮ হাজার পেরিয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে ৭ হাজার ৯২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৭ হাজারের অধিক। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৮ হাজার ৩৩৪ জনের।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৪৯ হাজার। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জর্জিজায় করোনার করোনা রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৪ হাজার ১১৭ জন মানুষের।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ৯২৫ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।
এছাড়া, ইলিনয়স, অ্যারিজোনা, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা ও লুসিয়ানার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।