শুক্রবার, ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর কত গরিব,আর কত অসহায় হলে সরকারি ঘর পাবে প্রতিবন্ধী-সহিদ মিয়া

রাব্বি আহমেদঃ আর কত গরিব,আর কত অসহায় হলে সরকারি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়- তা জানা নেই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী সহিদ মিয়ার।

মেহেরপুর গাংনী পৌরসভার শিশিরপাড়া মাঠপাড়ায় অসহায় এই মানুষটির একমাত্র মাথা গোঁজার আশ্রয় মাটির দেওয়াল টি খানিক অংশ অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে ভেঙে গেছে মাসখানেক আগে।নেই প্রয়োজনীয় অর্থ তাই মেরামত করা সম্ভব হয়নি আজও।

মেরামত হবেই-বা কি করে,যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়,সে কিভাবে মেরামত করবে দেওয়াল। ঘরের দেওয়াল যে টুকরো অবশিষ্ট আছে তা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।

তবুও জীবনের ঝুঁকি রেখে ওই ঘরের মধ্যেই বৃদ্ধার স্বামী স্ত্রী বসবাস করে চলেছে।শারীরিকভাবে অক্ষম বাকপ্রতিবন্ধী শহীদ মিয়ার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হচ্ছে তার স্ত্রী সালেহা খাতুন।বৃদ্ধা স্ত্রী সালেহা কখনো লোকের বাড়িতে কখনো মাঠে গিয়ে মজুরি কাজ করে উপার্জন করে। তা দিয়ে অনেক কষ্টের সংসার চালাতে হয় তাদের।

উপার্জিত সামান্য অর্থ দিয়ে স্বামীর শহীদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে সে। তাদের ঔরসজাত শুকুর আলী ও মুছা নামের দুই সন্তান থাকলেও তারা বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর নেয় না। তারা থাকে আলাদা। তাদেরও সংসার চলে দিনমজুরের কাজ করে।

সরকারি সহযোগীতায় উপজেলার জোড়পুকুরিয়া ও তেরাইল গ্রামের দু’জনর কোটি টাকার সম্পদ থাকার পরেও সরকারি ঘর দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির ঘর-বাড়ি নির্মান করে দেয়া হলেও অসহায় এই পরিবারটির সহযোগীতায় কেউ আজ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি। তাই এই মুহূর্তে সরকারী কিংবা বে-সরকারী পর্যায়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে অসহায় এই পরিবারটি হয়তো কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখতে পাবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি এই পরিবারটিকে। এই মুহূর্তে অসহায় এই পরিবারটির জন্য ঘর নির্মাণ, একটি হুইল চেয়ার ক্রয়, খাদ্য সহায়তা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন। তিনি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান,সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর পৌরসভার মধ্যে দেওয়ার নিয়ম নেই। বৃদ্ধাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর