মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রদীপসহ ৩ আসামিকে নিয়ে সেই ঘটনাস্থলে র‌্যাব

ডেস্কনিউজঃ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা মূল ৩ আসামিকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে সিনহা হত্যাস্থল পরিদর্শন করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর সোয়া একটার দিকে তাদের নিয়ে বাহারছড়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মামলার তদন্ত সংস্থা।

ঘটনাস্থলে রিমান্ডপ্রাপ্ত বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও উপস্থিত রয়েছেন।

রিমান্ডে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ঘটনাস্থলেই ঘটনার বিবরণ দেয়ার কথা রয়েছে। এই ৩ আসামিকে গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ৭ দিনের রিমান্ডে র‌্যাবের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আলামতগুলো মিলিয়ে দেখতে এ প্রক্রিয়া বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সরওয়ার।

তিনি বলেন, এমন কী ঘটনা ঘটল যে সিনহাকে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে গুলি করা হলো এই প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রধান তিন আসামিকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়েছে। বাকিটা পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। তখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মামলা করেছিলো পুলিশ।

পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর