মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামেনি সমুদ্রের সংকেত; বৃষ্টিপাত অব্যাহত

নিউজ : সপ্তাহ জুড়ে সারাদেশে চলমান বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর ফলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের ফলে সমুদ্র বন্দরসমূহে চলমান ৩ নং সতর্ক সংকত নামানো হয়নি। উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই দেশের সকল সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের বিহার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে গতকাল বিকেলে ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট বায়ু তাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান। সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়  এবং ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝরী ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামী দুই দিনে বা ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আজ শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৬মিনিটে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সাতক্ষীরায় ৭০ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল নোয়খালীর মাইজদিকোর্টে ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই বিভাগের আরো খবর