মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ-বাণিজ্য


মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় করোনাকালীন সময়ে প্রায় প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মার্কশিট ও প্রশংসা পত্র প্রদান চলছে রমরমা অর্থ-বাণিজ্য।

আজ সোমবার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায় এসএসসি পরীক্ষার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মার্কশিট ও প্রশংসা পত্র সংগ্রহ করতে গেলে ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা দাবি করছে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, এই করোনা কালীন সময়ে অর্থনৈতিক সংকট চলা সত্বেও বাধ্য হয়ে এই টাকা দিয়ে আমরা মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র নিয়েছি।

সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস অফিস সহকারি জানান,প্রায় প্রত্যেকটা বিদ্যালয় কমবেশি টাকা নেয়া হয় তাদের তুলনায় আমরা অনেক কম টাকা নিচ্ছি।

সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ জানান,ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মার্কশিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য টাকা আমরা নিচ্ছি।

বাওট সোলেমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন জানান, এসএসসি রেজিস্ট্রেশন এর সময় ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা কম দিয়েছে তাই প্রশংসাপত্র ও মার্কসিটের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সেই টাকা ধরে নেওয়া হচ্ছে।

সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি লায়লা আনজ্জুমান বানু জানান, সাধারণত গ্রাম পর্যায়ে স্কুলগুলোতে নিম্নশ্রেণির পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে। আমি আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক কে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র টাকা না নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার জানান,এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্রের টাকা নেওয়ার কোন বিধি বিধান নেই, যদি কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় টাকা নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, যদি কোন বিদ্যালয় মার্কশিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য অর্থ-বাণিজ্য করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর