ডেস্ক নিউজ : আধুনিক বিদ্যুত্ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৫৪ কোটি চার লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় নতুন সাবস্টেশন স্থাপন ও পুরনো সাবস্টেশনের সংস্কারসহ স্মার্ট গ্রিড স্থাপন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে নতুন করে এক লাখ ১৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুত্ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটি ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৫৪ কোটি চার লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৬৯ কোটি দুই লাখ টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (ডিপিডিসি) তহবিল থেকে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। বাকি এক হাজার দুই কোটি টাকা আসবে ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এএফডি) ঋণ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অনুদান থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ বিতরণের ‘টেকনিক্যাল লস’ কমে আসবে।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ প্রকল্পে নতুন সাবস্টেশন স্থাপন, উপকেন্দ্র নির্মাণ, পুনর্বাসন, বিদ্যুত্ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটি ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আমরা বিদ্যুৎ খাতে কনগ্রিড প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। এটা হবে নিরবচ্ছিন্ন ও আধুনিক বিদ্যুত্ব্যবস্থা।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয়টি নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া তিনটি সাবস্টেশনের সংস্কার ও ক্ষমতা বাড়ানো হবে। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এক লাখ ১৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও সম্ভব হবে। কেননা ডিপিডিসির আওতায় ৬০টি সাবস্টেশন, চার লাখ ২৬ হাজার নতুন গ্রাহক সংযোগ এবং সিস্টেম লস ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল। প্রকল্পটি ওই লক্ষ্যগুলো পূরণে সহায়ক হবে।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ফলে বিদ্যমান সিস্টেমের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ ও ২০২৫ সালে ওই সব এলাকায় বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে প্রায় দুই হাজার ২৪৪ ও তিন হাজার ২৮৫ মেগাওয়াট। এ প্রেক্ষাপটে ডিপিডিসি এলাকায় নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নতুন ১৩২/৩৩ কেভি ও ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণসহ বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।