আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহানবী হযরত মোহাম্মদের (স.) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো ফরাসী রম্য সাময়িকী শার্লি এব্দোর অফিসে পাঁচ বছর আগে যে হামলা হয়, তার সাথে জড়িত সন্দেহে ১৪জন কথিত ষড়যন্ত্রকারীর বিচার বুধবার শুরু হচ্ছে। সেই বিচার শুরুর একদিন আগে পত্রিকাটি মহানবীকে নিয়ে বহুল বিতর্কিত কিছু কার্টুন আবার প্রকাশ করেছে।
সেই বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশ নিয়ে শুধু ফ্রান্সে নয়, গোটা বিশ্বেই বিতর্ক হয়েছিল। এর কিছু দিনের মধ্যেই প্যারিসে পত্রিকাটির অফিসে বন্দুকধারীর হামলা হয়। সুপরিচিত কার্টুনিস্টসহ ১২ জন ওই হামলায় নিহত হয়। এর কয়েকদিন পর প্যারিসে এই ঘটনা সংক্রান্ত আরেকটি হামলায় পাঁচজন মারা যায়। সেই হামলার পর ফ্রান্সজুড়ে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে।
শার্লি এব্দোতে ২০১৫-র ৭ই জানুয়ারি দুই ভাই-এর চালানো বন্দুক হামলায় সহযোগিতার অপরাধে ১৪ জনের বিচার শুরু হচ্ছে আজ বুধবার।
শার্লি এব্দোর সর্বসাম্প্রতিক সংস্করণের মলাটে ইলামের নবীর সেই মূল ১২টি কার্টুন চিত্র আবার ছাপা হয়েছে। এই কার্টুনগুলো শার্লি এব্দোয় প্রকাশের আগে সেগুলো ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে।
এ বিষয়ে রম্য ম্যাগাজিনটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ২০১৫-র হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপানো অব্যাহত রাখার জন্য তাদের কাছে প্রায়ই অনুরোধ এসেছে। সে সময় এগুলো পুনরায় প্রকাশিত না হলেও বর্তমানে বিচার শুরুর প্রেক্ষাপটে তা প্রকাশিত হচ্ছে।
মামলায় বলা হয়েছে, শার্লি এব্দোর প্যারিসের দপ্তরে এবং পরবর্তীতে ইহুদীদের একটি সুপারমার্কেট ও একজন পুলিশ অফিসারের ওপর হামলায় সহযোগিতা করেছে ১৪ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা হবে। কারণ তারা উত্তর সিরিয়া এবং ইরাকে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি পরিচালিত সেই হামলায় দুই ভাই সাঈদ এবং শেরীফ কুয়াচি শার্লি এব্দোর দপ্তরে অতর্কিতভাবে ঢুকে পড়ে এবং গুলি চালাতে শুরু করে। সাময়িকীর সম্পাদক স্তেফানি শার্বনিয়ার যিনি শার্ব নামে বেশি পরিচিত ছিলেন, তিনি এবং আরও চারজন কার্টুন শিল্পী মারা যান।
বাকি নিহতেদের মধ্যে ছিলেন দুজন কলাম লেখক, একজন কপি এডিটার, একজন অতিথি যিনি একটি বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন এবং অফিসের কেয়ারটেকার। সম্পাদকের দেহরক্ষী এবং একজন পুলিশ অফিসারও ঘটনায় নিহত হন।
পুলিশ হামলাকারী ওই দুই ভাইকে যখন খুঁজছিল, তখন প্যারিসের পূর্বাঞ্চলে আরেকটি অবরোধের ঘটনা শুরু হয়। ওই দুই ভাইকে পরে হত্যা করা হয়।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।