শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার । আলোচিত একটি নাম, সম্মুখ সারির এক যোদ্ধার নাম। আজ ২ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদীতে সফল এই অফিসার ইনচার্জের দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেছিলেন তিনি। শ্রীবরদী থানায় যোগদানের পর থেকে তার চৌকস নেতৃত্বে উপজেলায় মাদক উদ্ধার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, অপরাধ দমন সহ আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে দারুন কাজ করে যাচ্ছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে মাঠের যোদ্ধাদের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আসে, তেমনি জুনিয়র অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নিতে দারুন সফল ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার। এমন সাহসী চৌকস অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্ব কর্মক্ষেত্রে অন্যরকম উদ্যমতা তৈরী করে, কথোপকথণে শ্রীবরদী থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দদের ভাষ্যে এমন উপলব্ধির খোজ মিলে সহসায়।
শেরপুরের সৎ সাহসী মানবিক পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর যথাযথ দিকনির্দেশনায় কর্মক্ষেত্রে সফলতা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার ইতিমধ্যে আইজিপি ব্যাজ পদক অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনবার। শ্রীবরদীতে কর্মরত ওসি কর্তৃক এই অর্জন সমূহ শ্রীবরদীবাসীকে পুলকিত করেছে, আস্থা সৃষ্টির জায়গা তৈরী করেছে , মানুষকে নিশ্চিন্তে থানামুখী হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। শ্রীবরদী থানায় যোগদানের পর শেরপুরের সফল মানবিক পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর নির্দেশনাকে সুনিপুনভাবে টার্গেট করে চলা আলোচিত ঘটনায় চমক সৃষ্টিকারী ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদারের একটি অনন্য যোগ্যতা, তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন সহজেই। যা “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে শ্রীবরদী উপজেলায় প্রষ্ফুটিত করতে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। ফলাফলে মাদক জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে , চুরি ডাকাতি নিরসনে এসেছে ব্যপক সফলতা। চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ, হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও রয়েছে সুনাম ।
” মানবিক পুলিশের চোখে, জনতার আকাঙ্খা লেখা থাকে ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রাখে করোনা সংকটের কালে শেরপুরের মানবিক পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শেরপুর জেলা পুলিশ বাংলাদেশের বুকে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনগণকে রক্ষা করতে এই যুদ্ধেও শ্রীবরদীর ওসি রুহুল আমিন তালুকদার অনন্য ভুমিকায় অবতীর্ণ করেছেন নিজেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম কাজ করে গেছেন উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন মানুষের ঘরে ঘরে। শ্রীবরদী থানা পুলিশের অন্যান্য যোদ্ধা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিয়ে অসহায় কৃষকের বোরো ধান কেটে তুলে দিয়েছেন ঘরে। সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন নিশ্চিত করতে ছুটে বেরিয়েছেন এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে।
পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের খোজ রেখেছেন নিয়মিত। হাট বাজারে গিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে নিজেই হাতে তুলে নিয়েছেন হ্যান্ড মাইক । ছিটিয়েছেন জীবানুনাশক স্প্রে। তার সবজি বিতরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ , লকডাউনের কারনে আটকে পরা ভিন্ন জেলার অসহায় মানুষদের নিজ আবাসস্থলে ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থাগ্রহণ সহ নানাবিধ উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সবার। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় সুদখোরদের বিরুদ্ধে তার কঠোর ভুমিকা নজর কেড়েছে সবার। সুদখোরদের কবল থেকে চেকবই উদ্ধার করে শিক্ষকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি যে ভুমিকা নিয়েছেন তা এখন মানুষের মুখেমুখে । তার কঠিন হুশিয়ারী সুদখোরদের জুলুম থেকে পরিত্রান দিয়েছে অসহায় হয়ে পরা শতশত দরিদ্র নির্যাতিত মানুষকে । সুদের ভার বয়ে বেড়ানো , সুদের টাকার ভয়ে পালিয়ে থাকা অনেকেই ধীরেধীরে ফিরছেন বাড়িতে ।
গত ২ বছরে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার এর এমন সফল কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের পথ এতটা মসৃন ছিলোনা, বিপত্তিও ধেয়ে এসেছে অনেক। তবে এতে থেমে থাকেননি তিনি। হননি বিচলিত। বরংচ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন – ” অবৈধ কারবারে জড়িতরা কোনঠাসা হয়ে যত অপকৌশলই অবলম্বন করুন, তিনি তার নীতিতে অবিচল থাকবেন। অবিচল থাকবে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। সীমান্ত থেকে শুরু করে শ্রীবরদী উপজেলা জুড়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। ” এমন ভুমিকায় বাহবা জানিয়ে শ্রীবরদী উপজেলার জনগন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জের দুই বছর পূর্তিতে অভিবাদন জানিয়েছেন। জানিয়েছেন শুভকামনা।