রবিবার, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে পশুর খুরা রোগের সংক্রমণ দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষক

তানভীর হোসাইন রাজু,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে দফায় দফায় বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঈদের আগে দেখা দেয় লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব। যার প্রভাব পরে ঈদের পশুর হাটে। লোকসান মেনে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম চালিয়ে যান কৃষকেরা। স্বপ্ন দেখে আমন কেটে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার। কিন্তু প্রকৃতির বৈরীতায় দেখা দিয়েছে আমনের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা। দিনে দিনে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে গো খাদ্যের সংকট। এর মধ্যেই গত কয়েকদিনে সংক্রমিত হয়ে পড়েছে গবাদিপশুর খুরা রোগ। এ রোগে অনেক কৃষকের গবাদিপশু আক্রান্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও পশু মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের হালের বলদ, দুধের গাভি, বাছুরসহ ছাগলও খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নানামুখী সংকটে  গবাদিপশু নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। দিনে দিনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরছে খুরা রোগ। গত প্রায় পনের দিন হতে খুরার প্রাদুর্ভাবে গবাদিপশু মারা  গেলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ কৃষকদের।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম গ্রামের কৃষক ওবাইদুল হক বলেন, তার ছয়টি গরুর মধ্যে তিনটি গরু খুরা আক্রান্ত। একটি বাছুর গরু মারা গেছে। তার মতে এলাটিতে প্রায় হাজার খানেক গবাদিপশু খুরা রোগে আক্রান্ত। চন্দ্রখানা গ্রামের বাদল জানান, তার দুটি গরু এবং তার ভাতিজা রশিদুলের চারটি গরু ও দুটি ছাগল খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রানীসম্পদ কর্মকর্তাকে বহুবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ তার। বিনা চিকিৎসায় একটি ছাগল মারা গেছে। ছাগল মারা যাওয়ায় কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে রশিদুলের স্ত্রীকে। একই গ্রামের রমানন্দ রায়ের দুটি হালের বলদ ও একটি বাছুর  খুরা রোগে আক্রান্ত।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কৃষ্ণ মোহন হালদার জানান, গবাদিপশুর টিকাদান, চিকিৎসা প্রদান ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুটি কমিটি করা হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। খুরা রোগের যেহেতু চিকিৎসা নেই তাই প্রতিরোধের জন্য টিকা দিতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আক্রান্ত পশুকে আলাদা রাখতে হবে। যাতে অন্যান্য পশুর মধ্যে সংক্রমিত না হয়।

এই বিভাগের আরো খবর