মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ কুষ্টিয়া থানায়

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসার সম্পর্কের পর গত ২১ শে জুন ২০১৯ তারিখে পোড়াদহ একটি কোচিং সেন্টারে নিয়ে গিয়ে বিবাহ করে। চাকুরী পেয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের বাবার বাড়ি আড়ুয়াপাড়া এলাকায় সহবাস করে মেহেরপুর জেলার গাংনী ঈদগাহ পাড়া এলাকার আঃ আহাদের ছেলে আবু আসলাম (স্বামী)।

স্ত্রী জানান, বিয়ের আগে প্রাই এক বছর আমার সাথে আবু আসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবু আসলাম কুষ্টিয়া পলিটেকনিক কলেজে পড়াশোনা করত। সেখান থেকে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলিটেকনিক কলেজের পেছনে আমার বাসা।

গত বছর ২১ শে জুন (শুক্রবার) আমাকে বিয়ের কথা বলে পোড়াদহ একটি কোচিং সেন্টারে নিয়ে কাজী এনে বিয়ে করে। সেখানে বিয়েতে আবু আসলামের ৫ বন্ধুর মধ্যে ও আমার এক বান্ধবী ছিল। এর মধ্যে আসলামের বন্ধু নিরব হোসেন, জুনাইদ ইভান, সামসুল আলম ও আবুল আহমেদ। এরপর আমি জানতে পারি এরা সকলেই ভুয়া নাম ব্যবহার করেছে।

সাক্ষীদের মাঝে এক জন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চর হরিনাডাঙ্গার খাইরুল মল্লিকের ছেলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক এর ছাত্র মুজাহিদ, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল এলাকার বন্ধন সেও কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ছাত্র ছিল, কুষ্টিয়া পূর্ব মজমপুর এলাকার সাদ্দাম। আর দুই জনের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

গত কোরবানির ঈদের দুই দিন আগে আবু আসলাম কুষ্টিয়া এসে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে যায়। সেখানে আমার সাথে ওর শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর সে বাড়িতে চলে যায়। পরে শুধু ফোনে কথা হতো। গত মাস থেকে আবু আসলাম আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

আমি বাধ্য হয়ে গত সোমবার (৯ নভেম্বর ২০২০) আবু আসলামের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে আমাদের বিয়ের কথা বললে আবু আসলাম আমাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে। এনিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

তখন গাংনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল আলম বদুর অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গাংনী থানা পুলিশের এসআই সুমন উদ্ধার করে আমাকে বাড়ি পাঠায়। আমি বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমি এই প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

বিয়ের সাক্ষী প্রতারক মুজাহিদুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বন্ধন, হৃদয়, সাব্বির এই বিয়ের সাক্ষী হয়। আমরা সকলেই আবু আসলামের বন্ধু। আমরা সকলেই কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের ছাত্র।

আবু আসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিয়ের কথা অস্বীকার করে। সে দাবি করে আমি ওই মেয়েকে চিনি না। সে আমার বাড়িতে এসেছিল এলাকার কাউন্সিলর সব সমাধান করে দিয়েছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।

এদিকে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান,গাংনী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল এর অফিস থেকে মেয়েটিকে থানায় আনি পরে তাকে তার আত্মীয়দের সাথে বাড়ি পাঠিয়েছি।

এই বিভাগের আরো খবর