ডেস্ক নিউজ : করোনাভাইরাসের ফলে যখন সবকিছু তথা কল-কারখানা বন্ধ ও যান চলাচল সীমিত ছিল তখন বিভিন্ন দেশে বায়ুর মানে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বায়ুর মান আবারও খারাপ হচ্ছে। এখন বাতাসে বেড়েছে ক্ষতিকর উপাদান। অতিক্ষুদ্র এসব ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রার ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজধানীসহ প্রধান প্রধান শহরের বায়ু ইতোমধ্যে অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে টানা ৬দিন বাংলাদেশের বায়ুর মান আরও খারাপ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।
আজ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের গড় হার বেড়ে হতে পারে ১৫১ থেকে ২০০ পিএম ২.৫, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির দূষণ।
এই সময়ে বৃদ্ধ, শিশু, শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগে ভোগা ব্যক্তিসহ সবাইকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কারণ, ওই মাত্রার বায়ু দূষণে যে কেউ অসুস্থ হতে পারেন, বিশেষ করে যারা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভুগছেন।
প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা মহানগরীর দূষণের চিত্র তুলে ধরেছে। তাকে দেখানো হয়েছে, আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়ুর মান ১৩১ পিএম ২.৫, গুলশানের বে’স এডজওয়াটারে ১২০, ঢাকার ইউএস অ্যাম্বাসিতে ১১৭, বিটোপিতে ১১১, ওহাব বারিধারায় ১১১ ও বিটোপি গ্রুপে ৫৫ থাতে পারে। একই সময়ে সারাদেশের দূষণের চিত্রে দেখানো হয়েছে, ঢাকায় বায়ুর মান ১১৬ পিএম ২.৫, সাভারে ১১২, ত্রিশালে ১০২, মানিকগঞ্জে ৮৩, শ্রীপুরে ৮১, কুমিল্লায় ৭২ ও নারায়ণগঞ্জে ৪ থাকতে পারে।
বাতাসের একিউআই মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ পিপিএম হলে তাকে ‘সবুজ বা স্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলা হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। আর একিউআই মাত্রা ৫১ থেকে ১০০ পিপিএম হলে তাকে ‘মধ্যম’ বায়ু বলা হয়, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। মাত্রা ১০১ থেকে ১৫০ পিপিএম হলে সে বায়ুকে ‘সর্তকতামূলক’ বায়ু বলা হয়, যেটা মানুষের জন্য মৃদু ক্ষতিকর। একিউআই মাত্রা ১৫১ থেকে ২০০ পিপিএম হলে সে বায়ুকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে ফেলা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ পিপিএম একিউআই মাত্রার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণি এবং ৩০১ থেকে ৫০০ পিপিএম মাত্রার বাতাস ‘চরম পর্যায়ের অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু হিসেবে চিহ্নিত।