ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরার টংপাড়া এলাকায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। সোমবার সকালে টংপাড়ার পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মনোয়ারা নামে এক নারীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পুকুরের মালিক টি ইসলামের কাছে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয়রা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে মাছ ধরতে যায় তারা। এ সময় অতর্কিতভাবে তীর-ধনুক নিয়ে হামলা চালায় আদিবাসিরা। ঘটনায় সময় নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও তীর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় উভয় পক্ষয় দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। পরে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
তারা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম মৌজায় ৩.০৪ একর জমি ক্রয়সূত্রে মালিক ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম। তবে আদিবাসী নেতাদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট ওই জমি জবড় দখলের চেষ্টা করছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রপ্রদায়ের নিরীহ মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে প্রায় সাত বছর ধরে পুকুর দখল চেষ্টা করছেন তারা। দখলবাজ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন আদিবাসি নেতা বঙ্গপাল, বিশ্বনাথ মাহাতো, হিংগু মুরমু, অবৈধভাবে দখলে থাকা করুণা রজোয়াড় ও কুটিলা রজোয়াড়। আদিবাসীর মত সংবেদনশীল ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তারা দখল নাটক চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর সংলগ্ন টংপাড়ার অনেক মুসলিম সন্ত্রাসীরাও এ দখল সিন্ডিকেটের সহযোগী।
লীজ গ্রহীতা আব্দুল খালেক জানান, চাঁপইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী টি ইসলাম এ পুকুরটি মালিক। তারা টি ইসলামের কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য এ পুকুর লীজ নিয়েছেন। সোমবার সকালে লীজ নেয়া পুকুরে মাঝ ধরতে গেলে আদিবাসীরা অস্ত্র সজ্জিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তার স্ত্রী মনোয়ারাসহ ৮ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে আহত আদিবাসীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রতিপক্ষরা তাদের পুকুরে মাছ ধরছিল। বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। পুকুরটা কিভাবে আপনাদের এমন প্রশ্ন করলে উত্তর না দিয়ে চলে যান তারা।
এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী ও মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় অইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।