আমাদের এই চলমান জীবনে অনেকেই হঠাৎ করে বিভিন্ন বিপদে পড়ে থাকি। মানুষ সাধারণত বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করে সাহায্য চেয়ে থাকেন। এ বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘হঠাৎ কোনো বিপদ- আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দোয়া পড়বে। পৃথিবীর কোন কিছুই তারকোন ধরণের ক্ষতি করতে পারবেন। আবু দাউদ, তিরমিজি, ৩৩৮৮,।
দোয়াটি নিম্নরূপ:
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লা-হিল্লাজি, লা ইযাদুররু মা আসমিহি শাইয়ান ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম। অর্থ : আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আকাশ-জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. সূত্রে বর্ণিত নবীজি সা. আমাকে বলেছেন, সকাল-সন্ধ্যায় সুরা ইখলাস,সুরা নাস এবং সুরা ফালাক তিনবার পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা তার সব রকম নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।তিরমিজি,৩৫৭৫। এছাড়াও নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে সারাদিনের বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করবেন। অন্যদিকে পরকালে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিয়মিত ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়াটি পড়ন।
এ বিষয়ে মহানবী (সা.) বলেন, কোন ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এই দোয়া দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতে যাবে। বুখারি শরিফ, মিশকাত হা/২৩৩৫।
দোয়াটি নিম্নরূপ:
উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা আনতা রববী, লা ইলা- হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলি ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা ।