মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির আগেই তার তাকদিরের ভালো মন্দ লিখে রেখেছেন। সুতরাং অনেক সময় দেখা যায় মানুষ যা আশা করছে তা হয় আবার অনেক সময় তার ব্যতিক্রমও ঘটে থাকে। আর এর জন্য অনেকেই নিজের কপালের দোষ দিয়ে থাকে। কিন্তু মহান আল্লাহ অনেক সময় তাঁর বান্দাদের নানা রকমের বিপদ বা মসিবত দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। দেখেন বিপদের সময় বান্দারা এক আল্লাহর আনুগত্য থেকে দুরে সরে যায় কিনা?
প্রিয় নবী হরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শক্তিশালী ঈমানদার আল্লাহর নিকট উত্তম ও প্রিয় দুর্বল ঈমানদারের চেয়ে। আর তাদের (ঈমানদারদের) প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমার যা কাজে লাগবে সেটা করার ব্যাপারে সচেষ্ট হও আর আল্লাহর সাহায্য চাও, অপারগ হয়ে যেও না।
আরবি দোআ
«قَدَرُ اللَّه وَمَا شَاءَ فَعَلَ».
বাংলা উচ্চারণ
কাদারুল্লা-হ, ওয়ামা শা-আ ফা‘আলা
বাংলা অর্থ
এটি আল্লাহ্র ফয়সালা, আর তিনি যা ইচ্ছা করেছেন।
[হাদীসে এসেছে, শক্তিশালী ঈমানদার আল্লাহর নিকট উত্তম ও প্রিয় দুর্বল ঈমানদারের চেয়ে। আর তাদের (ঈমানদারদের) প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমার যা কাজে লাগবে সেটা করার ব্যাপারে সচেষ্ট হও আর আল্লাহর সাহায্য চাও, অপারগ হয়ে যেও না। আর যদি তোমার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয় উদয় হয়, তখন বলো না যে, ‘যদি আমি এরকম করতাম তাহলে তা এই এই হতো’, বরং বলো, “এটা আল্লাহর ফয়সালা, আর তিনি যা ইচ্ছে করেছেন। কেননা, ‘যদি’ শয়তানের কাজের সূচনা করে দেয়। ]
মুসলিম, ৪/২০৫২, নং ২৬৬৪।
মূল- ড. সাঈদ ইব্ন আলী ইব্ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ ও সম্পাদনা- ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া