বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধন ফি ১৪ শত থেকে ৩ হাজার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কমলগঞ্জ ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উদ্যােক্তা সামসু মিয়ার সহকারী নাহিদের উপর।

কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে একশত পঞ্চাশ টাকার জন্ম নিবন্ধন ১৪ শত টাকা থেকে শুরু করে ২/৩ হাজার টাকা পযন্ত নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধনের অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন একজন সেবা গ্রহীতা।

জানা যায় কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন করতে আসেন সাইদুল ইসলাম। তিনি পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার জন্য বলেন উদ্যােক্তা সামসু মিয়ার সহকারী নাহিদ মিয়াকে। জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করা হয় এবং জন্ম নিবন্ধন প্রিন্ট করার পর দেখা যায় পাসপোর্ট অনুযায়ী নিবন্ধন হয় নি।

সেবা গ্রহীতা সাইদুল ইসলাম বলেন আমি পুনরায় সংশোধন ফি দিয়ে বলেছি পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার জন্য। আজ কাল বলে কয়েক দিন গত হয়ে যাওয়ার পরও নিবন্ধন পাই নি। তারপর উদ্যােক্তা সামসু মিয়ার সহকারী নাহিদ বলেন আরও ১ হাজার টাকা দিতে হবে। অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা কিসের জানতে চাইলে নাহিদ মিয়া বলেন, এই জন্ম নিবন্ধন ঢাকা থেকে কাজ করানো লাগবে তাই তাদের কে ১ হাজার টাকা দিতে বলে।

সেবা গ্রহীতা সাইদুল ইসলাম এর সাথে এই বিষয় আলোচনা করার পরপর সেবা গ্রহীতার ভাইয়ের সাথে মোবাইল যোগে কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা আদান প্রদান করা হয় যাহা কল রেকর্ডে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।

উক্ত বিষয় জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: সোলেমান হাসান এর উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা ফেরত দেন। এবং এমন যেন আর না হয় সেদিকে সতর্ক করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, উক্ত বিষয় আমার অগোচরে হয়েছে, আমি এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিবো এবং জন্ম নিবন্ধন এর ফি ১৫০ টাকার বেশি কেউ চাইলে আমাদের কে অবগত করবেন।

উল্লেখ্য: তিনি ২য় বারের মত পূনরায় চেয়ারম্যান নিবাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তার সামসু মিয়া ও তার স্ত্রী হ্যাপি বেগমের বারংবার একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মে অভিযোগ পাওয়ায় তাহাদের সাথে উদ্দোক্তার চুক্তিপত্র বাতিল করে নতুন উদ্দোক্তা নিয়োগ দেয়া হলেও সাবেক উদ্দোক্তা সামসু মিয়া ও তার সহকারী নাদিদের দখলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী সম্পত্তি তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী কক্ষ রয়েছে তাদের দখলে।

এই বিভাগের আরো খবর