মঙ্গলবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কান ধরানোর ঘটনায় বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইলেন ইউএনও

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যশোরের মনিরামপুরে জনসমাগম বন্ধের অভিযানকালে বয়োজ্যেষ্ঠ চার ব্যক্তিকে কান ধরানোর ঘটনায় তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী। এদিকে ওই ঘটনায় প্রত্যাহার হয়েছেন ওই সময় দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি/এসিল্যান্ড) সায়েমা হাসান।

এ অবস্থায় শনিবার সকালে সায়েমা হাসানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। এর পরপরই জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, তাকে (সায়েমা হাসান) মনিরামপুর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশনা আসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।

আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী ঘটনাস্থল চিনেটোলা বাজারে যান। সেখান থেকে তিনি ঘটনার শিকার চার ব্যক্তির বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এছাড়া তিনি খাদ্য সহায়তা করেন তাদের। এ সময় তিনি জানান, ঘটনার শিকার তিনজন ভূমিহীন হওয়ায় তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মনিরামপুর উপজেলায়। সায়েমা হাসানের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের আরও অভিযোগ আছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ জানান। মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘এ ঘটনায় খুবই নিন্দনীয়। মুরুব্বিদের এভাবে অপমান করা অন্যায়।’

প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযানকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে চার ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করান এসিল্যান্ড সায়েমা হাসান। ওই ব্যক্তিদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন তিনি। ঘটনার ছবিও তোলেন তিনি। পরে এ ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের এমন অবমাননাকর শাস্তি দেওয়ায় সর্বত্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এই বিভাগের আরো খবর