ডেস্ক নিউজ : মহামারি করোনায় প্রাণহানির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিন কাটাছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রায় ২২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি।
প্রাণঘাতি করোনা ও হ্নদরোগের কবলে দেশটির মক্কা-মদিনা, জেদ্দা, দাম্মাম ও রাজধানী রিয়াদে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৫৪ বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ডা. আবদুর রহিম (৪৫), হোসেন চৌধুরী (৫৫), বেলাল উদ্দিন (৪৫), আবু তৈয়ব (৪৮), মোহাম্মদ ফারুক (৩৩), মোহাম্মদ আজিজ (৩৬), মুহাম্মদ মিন্টু মল্লিক (৪৩), জালাল মিয়া (৪০), মোহাম্মদ ইউনুচ (৪৩), কামাল উদ্দিন (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), বেলায়াত হোসেন (৪২), ইউনুস ফকির (৪৯), মুহাম্মদ মুছা (৪৪), মোহাম্মাদ শামীম (৫২), রফিকুল ইসলাম (৪৬), মুহাম্মদ হারুন (৫৫), খলিলুর রহমান (৩৮), আনোয়ার হোসেন (৫২), মোহাম্মাদ রিওয়াজ (২৬), আমজাত হোসেন (৬৫), মোস্তাফা উদ্দিন (৩১), আলহাজ্ব ইসহাক জিরো (৪৯), মোহাম্মাদ দেলোয়ার (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩০), বদিউল আলম (৩৩), তাজুল ইসলাম (৪১), মগির আহমদ (২৫), মোহাম্মদ নুরুল হক (৩৭), মোশেদুল আলী (৩৬), মোহাম্মদ আমিন (৪৫), মকবুল আহমদ (৪০), মোহাম্মদ আলী (৫০), মোহাম্মদ কবির (৫৩), মনির হোসেন (৪৩), মোহাম্মদ মিজান (২৬), মাসুদুর রহমান (৩৭), আইয়ুব আলী (৪৫) ও মনিরুল ইসলাম (৪২), মোহাম্মদ পারভেজ (৪১) ও মোজাম্মল ড্রাইবার (৪৮)।
এভাবে সৌদি আরবে আশঙ্কাজনকহারে প্রতিদিন ভাইরাসটিতে ও এবং হ্নদরোগে মারা যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
গত তিন মাসে নিজ বাসা অথবা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌদিতে ২৫৪ জন নিহত হলেও করোনা উপসর্গ ও হ্নদরোগে মারা গেছে অন্তত ২৮৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বাংলাদেশি।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা থেকে রক্ষা পায়নি সৌদি আরব। বরং দীর্ঘদিন লকডাউন ও কারফিউ শিথিল হবার পর থেকে করোনা নতুন করে তাণ্ডব চালাচ্ছ দেশটিতে। প্রতিদিনই বেড়ে চলছে এ মহামারি। গত ২ মার্চ থেকে প্রায় তিন মাস ধরে ব্যবসা বাণিজ্য ও সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে সৌদির ১৩টি বড় শহরসহ দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেন সরকার।
এদিকে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৮৮ জনের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এতে করে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৩৭ জনের। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ৭৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে। যদিও সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ১২৯ জন মানুষ।