শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ : সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কঠোর সতর্কতা মেনে জাতীয় সংসদের বাজেট (অষ্টম) অধিবেশন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশন শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে মূলতবি করা হয়েছে। আগামীকাল বিকেল ৩টায় অধিবেশনে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে।

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে অধিবেশনের আগে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়নি। কঠোর সতর্কতায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্বল্প সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশ নেন। তবে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সিনিয়র সংসদ সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা বিগত দিনের আসন বন্টন এড়িয়ে করোনা সতর্কতা মেনে আসন গ্রহণ করেন। অধিবেশন কক্ষে এক থেকে দু’টি আসন পর পর তারা বসেছিলেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও মাথায় ক্যাপ ছিলো। সংসদ পরিচালনায় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সংসদ ভবনের প্রবেশমূখে সকলকেই জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়। এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের তাপমাত্রা মাপা হয়। এছাড়া নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ মৃত্যুবরণকারী অন্যান্যদের জন্য শোক প্রকাশ করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অধিবেশন ডাকার কারণও ব্যাখ্যা করেন। সম্ভাব্য সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সময়ের জন্য অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট পেশ করবেন। এরপর আলোচনা শেষে আগামী ২৯ জুন অর্থবিল ও ৩০ জুন বাজেট পেশ হবে। অধিবেশনে সরকারী দল, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এরপর ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের অনুমতি নিয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, এ বি তাজুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান মানিক, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মেহের আফরোজ চুমকিকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত করেন। পরে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গত অধিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ সংসদে উত্থাপন করেন।

প্রধম দিনে অধিবেশনের প্রধান কার্যসূচী ছিলো শোক প্রস্তাবের উপর সাধারণ আলোচনা। চলতি সংসদের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লাসহ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্টজনদের মৃত্যুতে এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এই আলোচনায় অংশ নেন সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিতে শোক প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। এরপর প্রয়াতদের স্মরণে নিরাবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনা শেষে দিনের অন্যান্য কার্যসূচী স্থগিত করে অধিবেশন মূলতবি করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর