স্বাস্থ্য ডেস্ক : করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত এন্টিবডি কিট কার্যকর নয় বলে মত দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। এ বিষয়ে লিখিত আকারে প্রতিবেদন পাওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আজ বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আবিষ্কৃত করোনা শনাক্তের কিটের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কিট পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়। এ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই কিট কার্যকর নয় বলে মত দেওয়া হয়।
যদিও এক প্রতিক্রিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলছে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তাদের কিটের প্রতি তাদের আস্থা আছে।
আজ বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউর প্রতিবেদন পাওয়ার পরও নিজেদের কিটের প্রতি আস্থা থাকার বিষয়ে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না, আমাদের জানানো হয়নি। প্রতিবেদনটা পাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব। সেটা দেখার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা তো আমাদের কিটকে চিনি। আমাদের কিটের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া নিশ্চিত করেছেন যে- করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণের গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়।
তিনি বলেন, ‘উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে এই কিট ব্যবহার করে শুধু ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব।’
এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য