সোমবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা খাচ্ছেন নাকি বিষ খাচ্ছেন ?

জি এম কিবরিয়া : করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় মানতে হচ্ছে নানা স্বাস্থ্য বিধি। এর মাঝেই একান্ত ব্যবহার এর জিনিস গ্লাস, প্লেট, ব্যবহার এর বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে ৷ অনেকের স্বভাবজাত প্রভৃতি চা খেয়ে সময় কাটানো। তাঁর সাথে করোনা প্রতিরোধ এ গরম পানি,চা, পান করতে বলছেন অনেকেই, তাই চাহিদাটাও অনেক বেশি। লক ডাউন সিথিল খুলেছে চায়ের দোকান, কিন্তু করোনার কারণে এখন আর এক কাপ সবাই ব্যাবহার করতে চাইছেন না।
হিড়িক পড়েছে অন-টাইম কাপে চা খাওয়ার।
আর সেই চা খেয়ে নিজেকে করোনা থেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছেন, কাপটি যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ ও নষ্ট করছেন।
বস্তুটি দেখতে যতটা সাদা, এর কাজ ততটাই কালো।

রসায়নবিদরা বলছেন, থার্মোকলে থাকে থার্মোপ্লাস্টিক যৌগ পলিস্টাইরিন। স্টাইরিন ও ফেনিলিথিন পলিমারাইজেশনে পলিস্টাইরিন যৌগ তৈরি হয়। এটি বিষ। পাশাপাশি ‘ওয়ান টাইম’ পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ‘বিসফেনল এ’ ও নানা রাসায়নিক। আর এসব রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে প্রবেশ করে শরীরের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি কারণ হতে পারে ক্যান্সারেরও।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অভিমত, ‘ওয়ান টাইম’ পণ্যে রাখা গরম খাবার ও পানিয় গ্রহণে হৃদরোগ, রক্তনালীর অসুখ, নারীদের ব্রেস্ট ও ওভারিয়ান ক্যান্সার এবং পুরুষের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হালকা, সহজে পরিবহনযোগ্য ও সস্তা হওয়ায় অনেকে খাবারের প্লেট থেকে চায়ের কাপ সবকিছুতেই ‘ওয়ান টাইম’ পণ্য ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিষ্কার করার ঝামেলা থেকে রেহাই পেতেও মানুষ বেছে নিচ্ছেন অস্বাস্থ্যকর এই পণ্য।

পরিবেশবিজ্ঞানীরাও বলছেন, থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। এটি মাটির সঙ্গে মেশে না। গাছের পানি শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। থার্মোকল পোড়ালে সৃষ্ট কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ করে।

এ অবস্থায় ‘ওয়ান টাইম’ ব্যবহার বন্ধ ও এর বিকল্প হিসেবে কাগজের তৈরি পণ্য ব্যবহারের কথা বলছেন পরিবেশ বাদি ও সুশীল সমাজ।

এই বিভাগের আরো খবর