আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। সেই সঙ্গে নিজের বংশ পরিচয়ও আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন বিরোধীদের।
বিজেপিকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, সরকার তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেয়ার নিক। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি। তাকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। সত্য কথা তিনি বলবেনই।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় একাধিক দফতর এখন তার বিরুদ্ধে সক্রিয়। কিন্তু পিছু হটবেন না বলে সাফ জানি দিয়েছেন প্রিয়াংকা।
তার ভাষায়, ‘আমি ইন্দিরা গাঁন্ধীর নাতনি। কিছু বিরোধী নেতা-নেত্রীর মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নই।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভির।
ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যের মতোই উত্তরপ্রদেশেও ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা। কিন্তু মহামারী মোকাবেলায় রাজ্য সরকারের নানা অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার কথা উঠে আসছে।
এর মধ্যে কানপুরে একটি সরকারি হোমে সম্প্রতি বেশ কয়েক জন কিশোরী করোনা আক্রান্ত হয়। তাদের কয়েকজন আবার গর্ভবতী বলেও খবর বেরোয়।
এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে সমালোচনা করে আসছেন প্রিয়াংকা। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট তুলে তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশে ভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
আরও জানান, কানপুর সরকারি হোমে ৫৭ জন কিশোরী আক্রান্ত। এসব সমালোচনা উঠতেই প্রিয়াংকার বিরুদ্ধে সরব যোগী সরকার। অভিযোগ, পুরো সত্য না জেনেই, ওই সরকারি হোম নিয়ে প্রিয়াংকা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।
সেই জেরেই শুক্রবার প্রিয়াংকাকে নোটিস দেয় উত্তরপ্রদেশ চাইল্ড রাইটস প্যানেল। তিন দিনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়।
এ নিয়েই এদিন টুইটারে ফুঁসে ওঠেন প্রিয়াংকা। তিনি লেখেন, ‘জনগণের সেবক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ আমি। সত্যটা সামনে আনা আমার কর্তব্য, বিজেপি সরকারের তথ্য প্রচার করা নয়।’
উত্তরপ্রদেশ সরকার তাকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রিয়াংকা।
তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে খামোখা সময় নষ্ট করছে। যা পারে করুক ওরা। সত্যিটা সামনে তুলে আনবই। আমি ইন্দিরা গাঁন্ধীর নাতনি। বিরোধী পক্ষের কিছু নেতার মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নই।