আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে ভারত-চীন সীমান্তে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। সম্প্রতি দুই দেশের সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২০ ভারতীয় সেনা। এরপর থেকে ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন তহবিলে চীনা অনুদান গ্রহণ নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি আর বিরোধী কংগ্রেস।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পিএম কেয়ার ফান্ডে’ চীনা অনুদান রয়েছে বলে কংগ্রেস তোপ দাগিয়েছে। খবর এই সময়’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিন কয়েক আগে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চীনা অনুদান নেওয়ার অভিযোগ এনে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিল বিজেপি।
এর রেশ ধরে এবার বিজেপি শিবিরকে পাল্টা আক্রমণ করল কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রে তাদের অস্ত্র ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ড’।
কংগ্রেসের দাবি, এই তহবিলে কয়েক কোটি টাকা ঢেলেছে চীনের বিভিন্ন সংস্থা। চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দুর্বলতা’ আছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
কংগ্রেসের তোলা এই অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে দলের সূত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে পিএম কেয়ার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। ফলে এই ধরনের তহবিলে আর্থিক অনুদান আর রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুদান এক জিনিস নয়। ওই ফাউন্ডেশন সোনিয়া গান্ধী এবং গান্ধী পরিবার পরিচালনা করে।’
এর আগে এক বিবৃতিতে পিএম কেয়ার তহবিলে চীনা সংস্থাগুলোর অনুদান গ্রহণের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে যে, গত ২০ মে পর্যন্ত বিতর্কিত তহবিলে ৯ হাজার ৬৭৬ কোটি রুপি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে চমকে দেওয়ার মতো বিষয় হল- চীনের সংস্থাগুলোর থেকেও অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ চীনের সেনাবাহিনী আমাদের ভূখণ্ডে দখলের চক্রান্ত করছে।’
ওই বিবৃতিতে মোট ৮টি প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ‘বিতর্কিত সংস্থা হুয়াওয়ের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা অনুদান প্রধানমন্ত্রী কি গ্রহণ করেছিলেন? ৩৮ শতাংশ চীনা মালিকানাধীন Paytm কি বিতর্কিত এই তহবিলে ১০০ কোটি রুপি দান করেছিল? চীনের কোম্পানি শাওমি কি প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ডে ১৫ কোটি রুপি অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? আর এক চীনা সংস্থা অপ্পো কি এই তহবিলে ১ কোটি রুপি দান করেছে?’