ডেস্কনিউজঃ করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। এনিয়ে বৃহস্পতিবার (২ জুন) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ জানান বলেন, ‘আসলে আমরা কাজ শুরু করার পর প্রাথমিকভাবে এটা নিয়ে সফল হয়েছি। এনিমেল মডেলে এটা সফল হয়েছে। এখন আমরা আশা করি মানবদেহেও এটা সফলভাবে কাজ করবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাছে যাব। এরপর তাদের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী পর্ববর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করবো৷’
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩০ জুন) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সকল সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে। যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বের মানুষ বিপর্যস্ত। ঠিক তখনই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ গবেষণার পাশাপাশি কোভিড-১৯ ‘সনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ’ আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণা কর্মকাণ্ড শুরু করে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানা এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধে টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫৭৪৩ টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সকল সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা।
উক্ত টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজে জমা দিয়েছেন যা ইতোমধ্যেই এনসিবিআই কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে (এসসেশন নাম্বার : এমটি৬৭৬৪১১)। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত টিকাটির বিশদ বিশ্লেষণের পর ল্যাবরেটরি এনিমেল মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ এন্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তাঁরা।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, উক্ত প্রেক্ষাপটে এই টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা (সেফটি অ্যান্ড ইফিসিয়েসি) নিরীক্ষার লক্ষ্যে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সুরক্ষা ও কার্যকারিতা পরীক্ষায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ২ জুলাই দুপুর ১২টায় ‘কোভিড -১৯’ এর টিকা আবিষ্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড (প্লট ৩/ক তেজগাঁও শিল্প এলাকা)।
অদৃশ্য শক্তি করোনার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। প্রায় পাঁচ মাসে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটির বেশি। তবে এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি এর প্রতিষেধক। চেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও কার্যকর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। এমতাবস্তায় করোনার টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে দেশের এই ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সবচেয়ে এগিয়ে আছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু গেল সোমবার (২৯ জুন) চীন দাবি করেছে, তারা একটি সফল ভাইরাস আবিষ্কার করেছে। ভাইরাসটি এক বছরের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।