আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনাবাহিনীর ‘আশীর্বাদ’ নিয়ে ইমরান খান পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসলেও দূরত্ব বেড়েছে তাদের সঙ্গে। সম্প্রতি নানা ব্যর্থতায় ইমরানের আসন নড়ে গেছে। সেনাবাহিনী এখন আর ব্যর্থ ইমরান সরকারের সঙ্গে নিজেদের নাম দেখতে চায় না। ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইমরান খান। তারা বর্তমান সরকারের বাজেটকে দরিদ্রবিরোধী, জনবিরোধী বলে সমালোচনা করছে। তাদের এই সমালোচনায় সমর্থন দিচ্ছে দেশটির হাজারো সাধারণ জনগণ।
২৯ জুন করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জে বন্দুকধারীরা হামলা করে। এদিন বন্দুকধারী ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ যায় চার হামলাকারীসহ ১৩ জনের। এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া যেন তৈরি করাই ছিল। ভারতকে দোষারোপ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। বিষয়টি অনেকটা খড়কুটো ধরে নিজের আসন রক্ষার চেষ্টার মতো বলেই মত বিশ্লেষকদের। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানি নেতারা এ ধরনের কৌশল ব্যবহার করে আসছেন। তারা এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে সমস্যা থেকে সাধারণের দৃষ্টি সরিয়ে নেন। ইমরান খানও ভিন্ন নন। আসলে ভারতের বিরুদ্ধে এ রকম অমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করার সময় দেশটিতে আর সব সংকটের দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
ইমরান খানের মধ্যে পূর্বসূরিদের আচরণই লক্ষ করেছেন তার বহু স্পষ্টবাদী সমর্থক। তাঁদেরই একজন হলেন এরশাদ ভাট্টি। উর্দু ভাষার গণমাধ্যমে কয়েক দিন আগে তিনি একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ইমরান খান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। হাসান নিসার নামের এক সমালোচকও ইমারন খানকে একসময় ব্যাপক সমর্থন দিতেন; কিন্তু বর্তমানে তিনিও মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।