আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে চীনের ২৭টি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে সে সব অঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে পড়েছেন। একই সঙ্গে নিখোঁজ ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এপি ও রয়টার্স’র।
ইয়াংজি নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণ চলতে থাকায় রোববার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার বন্যা সতর্কতা জারি করেছে দেশটি। এ বছর সেদেশে বন্যাজনিত কারণে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যায় ৩৫ দশমিক ৩ লাখ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ২৮ হাজার ঘরবাড়ি।
তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইয়াংসির নদীর অববাহিকায়। দেশটির সবচেয়ে বড় মিঠাপানির হ্রদ পয়াংয়ের উপচেপড়া পানি ইয়াংসি নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহু শহর ও গ্রাম ডুবিয়ে দিতে পারে বলে। এমনটি আশঙ্কা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইয়াংসির তীরবর্তী অঞ্চলগুলোর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু ও জিয়াংশি প্রদেশ সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে। চীনে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৪ স্তরের জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে প্রথম স্তর সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতি বোঝায়।
চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে ৪৩৩টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ৩৩টি নদীর পানি স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতা অতিক্রম করেছে।
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানিয়ে শনিবার চীনের ন্যাশনাল অবজার্ভেটরি দক্ষিণাঞ্চলীয় হুনান, মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই, দক্ষিণপশ্চিমের চংকিং এবং সিচুয়ান প্রদেশে নতুন করে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করেছে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।