বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুমায়ূন আহমেদ এর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক নিউজঃ তিনি ছিলেন কথার জাদুকর। তার লেখায় এমন যাদু ছড়িয়েছেন, যে যাদুমন্ত্রে বিহ্বল পাঠক। উপন্যাস, গান, সিনেমা- যেখানেই হাত দিয়েছেন, কথা-ছন্দ-দৃশ্যের জাদুতে পাঠক ও শ্রোতা-দর্শক একখানে হয়ে গেছেন। বলছি নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথা। আজ তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে মারা গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে।

হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় ঋতু ছিল বর্ষা, তাই বৃষ্টির দিন তিনি দারুণ উপভোগ করতেন। তার মরদেহ দেশে আনা হলে, বিষন্ন হয়ে গিয়েছিল প্রকৃতিও। পুরোটা দিন বৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোন বাধাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিরত রাখতে পারেনি ভক্ত ও সাধারণ মানুষদের। গাজীপুরের শালবনে বৃষ্টিস্নাত হয়ে অগণিত মুসল্লি নামাজে জানাজায় অংশ নেন। তার নিজের গড়া নূহাশ পল্লীতেই সমাহিত করা হয় এই কথাসাহিত্যিককে।

তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালে। এটি প্রকাশের পর লেখক ও সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ আলোচিত হয়ে উঠেন। এরপর প্রকাশিত হয় তার লেখা- শঙ্খ নীল কারাগার, রজনী, গৌরীপুর জংশন, অয়োময়, দূরে কোথাও, ফেরা, কোথাও কেউ নেই, অচিনপুর, আমার আছে জল, এই সব দিনরাত্রিসহ অসংখ্য গল্প ও উপন্যাস।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাতুলালয় শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিক। তার পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। বাবা ফয়জুর রহমান ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই ও দুই বোনের মাঝে হুমায়ূন ছিলেন সবার বড়। তার ছোট ভাই অধ্যাপক জাফর ইকবাল একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও লেখক। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক।

এই বিভাগের আরো খবর