ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর বিভিন্ন ফ্ল্যাট মালিক সমিতি ও হাউজিং সোসাইটিতে কোরবানির পশু সংরক্ষণ ও জবাই করার সুযোগ দিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রাজধানীর জাপান গার্ডেন সিটির অধিবাসী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর শরীফ রবিবার (১৯ জুলাই) রিটটি করেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। রিটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা করে সেই নির্দেশনার আলোকে কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থার আবেদন জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের একটি দ্বীনি উৎসব এবং পশু কোরবানি একটি ইবাদাত। পবিত্র ঈদুল আজহায় সাধ্যমতো পশু কোরবানি করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের একটি ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) আমল। জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতিসহ দেশের সব হাউজিং সোসাইটি, ফ্ল্যাট মালিক সমিতি বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের অধীনে নিবন্ধিত সোসাইটি। নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী এই ধরনের সমিতি অবশ্যই বাংলাদেশে প্রচলিত আইন মেনে চলতে বাধ্য। কোনো হাউজিং সোসাইটি বা ফ্ল্যাট মালিক সমিতি যদি অনিবন্ধিতও হয়, সেক্ষেত্রেও তারা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন মেনে চলতে বাধ্য।
বলা হয়েছে, তথাকথিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে পশু কোরবানি করা কিংবা কোরবানির পশুর কোনো সম্পর্ক নেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কিংবা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আসন্ন ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্সে পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এমন অবস্থায় জাপান গার্ডেন সিটি মালিক ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি কিংবা একই ধরনের অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি বা ফ্ল্যাট মালিক সমিতির কোনো আইনগত এখতিয়ারই নেই যে, তারা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কোরবানির পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বীনি অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারা মোতাবেক একটি ফৌজদারি অপরাধ। কোরবানির পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ঢাকার অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি, ফ্ল্যাট মালিক সমিতিও একই দায় বহন করে।
এর আগে একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হলে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়েছে।