সোমবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরীর সঙ্গে নৌমহড়া ভারতের, কূটনৈতিক বার্তা চীনকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালাবারে নৌসেনা মহড়ার আগেই বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরীর সঙ্গে ‘পাসেক্স’ নৌমহড়া সম্পন্ন করেছে ভারত। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোসাগরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিটিজের সঙ্গে নৌমহড়ায় অংশ নেয় ভারতের নৌবাহিনী। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার টানটান পরিস্থিতিতে মার্কিন রণতরীর সঙ্গে এই নৌমহড়াকে চীনের প্রতি কৌশলী বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। ইউএসএস নিমিটিজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রেগান পরমাণু অস্ত্রবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে এতদিন মোতায়েন ছিল। এবার বঙ্গোপসাগর হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় ফেরার পথে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে ‘পাসেক্স’ নৌমহড়ায় অংশ নেয়। লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার সিয়ান ব্রোফি জানিয়েছেন, দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে এমন পাসিং এক্সারসাইজ পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ায়।

দক্ষিণ চীন সাগরে বরাবরই নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে চীন। বাণিজ্য সংঘাতের পরে শান্তিরক্ষার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের চারটি রণতরী মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, যাকে মোটেও ভাল চোখে দেখেনি বেইজিং। এই বছরের শেষেই বঙ্গোপসাগরে মালাবার বার্ষিক নৌমহড়ায় অংশ নিতে চলেছে ভারত-জাপান-যুক্তরাষ্ট্র।  মালাবার প্রশিক্ষণের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। মালাবারে এই বার্ষিক নৌসেনা মহড়া তথা মালাবার এক্সারসাইজ আগে ছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক নৌসেনা মহড়া। পরে জাপানও যোগ দেয় এই মহড়ায়। ২০১৭ সালে ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপাক্ষিক নৌমহড়া হয় বঙ্গোপসাগরে। এই নৌসেনা মহড়ার নাম ছিল ‘মালাবার ২০১৭।’ ভারত মহাসাগর শুধু নয় চীনের নৌসেনার তৎপরতা লক্ষণীয় বঙ্গোপসাগরেও।

ভারত প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের একাধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে। গালওয়ান সীমান্ত সংঘাতের আগেই ভারত মহাসাগরে ক্ষেপণান্ত্র প্রতিরোধী চীনা যুদ্ধজাহাজের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার ব্যারি ও’ফ্যারেল জানিয়েছেন, নৌ-সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং। চলতি বছরের শুরুতেই ভারত মহাসাগরে বিশেষ ব্যবসায়িক এলাকা (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) ও আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি কয়েকটি চীনা জাহাজকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। বেইজিং এর দাবি , জলদস্যু দমনের জন্যই নামানো হয়েছিল ওই জাহাজগুলিকে।

এই বিভাগের আরো খবর