আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চীন ভারতের উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সীমান্ত নিয়ে দুদেশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল আসবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে এই সংঘাতের জের ধরেই গেল সপ্তাহে বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। আর এই নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিগত শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে আরো একধাপ পিছিয়ে গেলো চীন।
ব্রুকিং ইন্সটিটিউশনের চীনের কূটনৈতিক কলাকৌশল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভারতে চীন তার বাজার হারালে বিশ্ব বাজারেও টিকে থাকতে পারবেনা। আর ভারত এই কাজ করলে তাদের দেখাদেখি আরো অনেকে করবে। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন টিকটক সহ আরো অন্যান্য চীনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে অস্ট্রেলিয়া।
নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়া শুধুমাত্র এখন ভারতেই সীমাবদ্ধ না। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে চীনা প্রযুক্তিবিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ অ্যাদাম সিগাল বলছেন,পম্পেওর মন্তব্য এক স্পষ্ট উদাহরণ। এরই মধ্যে ভারতের বিরোধী দল অনুন্নত দেশগুলোর জন্য ফ্রি ফেসবুক চালানোর বিষয় বাতিল ঘোষণা করেছে। প্রযুক্তির বাইরে এখন অনেক দেশই চীনের গৃহীত উন্নয়ন কৌশল ‘এক অঞ্চল এক পথ’ নিয়ে আপত্তি জানায় যার বিরুদ্ধে সবার প্রথমে মুখ খোলে ভারত। তবে এই সংঘাতের জের ধরেই ভারত সামনে কি করে তাই এখন দেখার বিষয়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, ভারত যদি অ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ বলবৎ রাখে তবে এর চড়া মূল্য দিতে হবে শি জিন পিং প্রশাসনকে।