সোমবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছর বয়সীরাও পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র

ডেস্ক নিউজ : পর্যায়ক্রমে দেশের সকল নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসির। তারই অংশ হিসেবে ১০ বছর বয়সী নাগরিকদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দেওয়া হবে। তবে এনআইডি দেয়া হলেও তারা ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবেন বয়স ১৮ হলেই।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ৫(২) অনুযায়ী ভোটার নয়, এমন নাগরিককে নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারবে কমিশন। এ আইনের কারণেই নির্বাচন কমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

ইসি-সংশ্নিষ্টরা জানান, এখন ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের এনআইডি কার্ড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ঘরে বসে তারা কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত নাগরিকদের তথ্য ইসির কাছে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। যারা ২০১১ সালের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারাই নাম-পরিচয় নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।

কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন জানান, তথ্য সংগ্রহের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের কাজে লাগানো হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়েই অধিকাংশ ১০ বছর বয়সী এবং হাইস্কুলে দশের বেশি বয়সীদের তথ্য চলে আসবে। এ জন্য স্কুলে নিবন্ধন ফরম পাঠিয়ে দিলে শিক্ষকদের মাধ্যমেই পূরণ করিয়ে নেয়া যাবে। আর আঙুল ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় তো সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। কাজেই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।

ইসি সূত্রে জানা যায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তল্লাশির কাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ, ভোটার তালিকায় ঠিকানা স্থানান্তর, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধনসহ সব ধরনের কাজ অনলাইনে সম্পাদনের ব্যবস্থা করেছে কমিশন। আগামী এক মাসের মধ্যে ইসি একটি নতুন অ্যাপস তৈরি করতে যাচ্ছে, যাতে এনআইডির সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।

তবে মাঠপর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তল্লাশির কাজ এখনই পুরোপুরি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি এবং ভোটার তালিকার সব কাজ অনলাইন সার্ভিসে চালু করা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে। এ থেকে ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একটা বিশেষ গোষ্ঠী বা কোনো অংশের জন্য পুরোপুরি অনলাইন সার্ভিস চালু করা হয়তো সম্ভব। কিন্তু পুরো দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিলে এখনই মাঠে গিয়ে হালনাগাদের কাজ পুরোপুরি তুলে দেওয়ার বিষয়টি কতটুকু বাস্তবভিত্তিক হবে, তা চিন্তাভাবনা করতে হবে।’

এই বিভাগের আরো খবর