আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বিদেশি ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখতে চায় দেশটির সরকার। বিস্ফোরণের নেপথ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র ও যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তদন্তে এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরণের চার দিন পর শুক্রবার বৈরুতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সন্দেহের কথা তুলে ধরেন আউন। বলেন, শস্যভাণ্ডার ধ্বংসের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এতে বাইরের কোনো দেশের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বাইরে থেকে রকেট হামলা, বোমা অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে গুদামঘরে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন লেবানিজ প্রেসিডেন্ট। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনভাবে তদন্ত চলছে, প্রথমত বিস্ফোরক উপাদান কিভাবে গুদামঘরে ঢুকল এবং সংরক্ষণ কিভাবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনাবসত অথবা অবহেলার কারণে হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবশেষ এতে বাইরের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী লেবাননের প্রেসিডেন্ট। ৪ আগস্ট লেবানন থেকে সাইপ্রাসের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার হলেও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সে দেশের জনগণের মধ্যে। অনেকেই ভেবেছিলেন তাদের আশপাশের কোথাও বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনায় লেবাননের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে সাইপ্রাসের সরকার। তাছাড়া কাতার, ইরাক ও কুয়েত দেশটিতে চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। বৈরুতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট দুটি ফিল্ড হাসপাতাল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে লেবাননকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে লেবানন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠানো হবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উলেখ করা হয়েছে। লেবাননের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারসহ নানা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।