মাধবদী প্রতিনিধি : শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন মৈশাদী কান্দাপাড়া গ্রামে ননদ জামাইয়ের লম্পট চরিত্র প্রকাশের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।
খবরে প্রকাশ, সহোদর দুই বোনকে বিয়ের পর এবার তারই আপন শ্যালকের স্ত্রীর শ্লীলতা হানির চেষ্টা চালিয়েছে হোসেন মিয়া (৪৬) নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি।
এই ঘটনায় শ্লীলতাহানীর শিকার তিন সন্তানের জননী রুমা আক্তার বাদী হয়ে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ননদ জামাই হোসেন মিয়া(৪৬) ও নিজের স্বামী ওমর ফারুক (৪০)কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
যাহার, মামলা নং ৪৫/২০২০।
বাদীর অভিযোগ ও তার বক্তব্য থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে মাধবদীর মৈশাদী কান্দাপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ওমর ফারুকের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ফারহানা (১৪), ইফরান (৯) ও দ্বীন ইসলাম (৫) নামে তিনটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো তার স্বামীর আপন ভগ্নিপতি লম্পট হোসেন আলী। তার লম্পট চরিত্রের কারনে ইতিপূর্বে তার স্বামীর আপন দুই বোনকে বিয়ে করলেও শশুর বাড়ি বা এলাকার কেউ কিছু বলার সাহস দেখায়নি। কারন তার রয়েছে অঢেল টাকা পয়সা ও ক্ষমতা।শশুর বাড়ির পারিবারিক ভাবে কেউ কিছু বললে পাছে বড় মেয়ের সংসার ভেঙ্গে না যায় এই ভয়ে তার শালীকে বিয়ের বিষয়টিও মেনে নিতে বাধ্য হয় পরিবার। একই ভয়ে স্বামীর দুই বোনের পর রুমার দিকে কুনজর দিলেও নিজের স্বামীকে এব্যাপারে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছিলোনা।
গত ১০ জুলাই শুক্রবার দুপুর ৩ টার দিকে হোসেন আলী শ্বশুর বাড়ি এসে রুমাকে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে জোরপূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষনের চেষ্টা করে।
বহু চেষ্টার পর রুমা তার কবল থেকে ছুটে গিয়ে তার স্বামীকে এ ব্যাপারে সব খুলে বলে। কিন্তু তার স্বামী এতে কর্ণপাত না করে উল্টো তাকে শাসিয়ে বলে “তার ঘরে আমার দুইবোন রয়েছে। তোর জন্য আমি আমার বোনদের সংসার নষ্ট করতে পারবোনা।
স্বামীর কাছে নিজের সম্ভ্রম হানীর বিচার না পেয়ে অবশেষে স্বামী ও তার লম্পট ভগ্নিপতির বিচারের দাবিতে রুমা আদালতের দ্বারস্থ হন।
মামলার পর থেকে হোসেন মিয়া তাকে বিভিন্ন ধরনে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এলাকাবাসী জানান, হোসেন মিয়া একজন চিহ্নিত লম্পট। তার কাম লালসা থেকে তার আপন শালিকা ও রেহাই পায়নি। শালিকার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বহু চেষ্টার পর ও সফল হতে না পেরে অবশেষে তাকেও বিয়ে করে একসাথে দুই বোনকে নিয়ে সংসার করছে। এছাড়া তার কারখানার বিভিন্ন নারী শ্রমিকদের সাথেও তার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।
এ নিয়ে দুই জন শ্রমিক প্রতিবাদ করলে ঈদের পূর্বে তাদের বেতন থেকে দুই হাজার করে টাকা কেটে রেখে কাজ থেকে বিদায় করে দেয়া হয় বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত হোসেন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি”।পাশাপাশি এব্যাপারে কোন নিউজ না করার জন্যেও তিনি সাংবাদিকদেরকে শাসান।