শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন উট বাণিজ্য জনপ্রিয় হচ্ছে ।

কোরবানির পশু হিসেবে বিত্তবানদের পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে উট। নতুনত্বের পাশাপাশি উটের মাংস সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। আর এতে করে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে উট বাণিজ্য। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ ঘিরে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উট বেচাকেনা হয়। তাই উট আমদানি বাড়ছে। চাহিদার কারণে এখন দেশে উট ও দুম্বার বাণিজ্যিক খামারও শুরু হয়েছে।

তবে উট কোরবানিতে নতুনত্ব থাকায় এর দামও কিছুটা বেশি থাকে সব সময়েই। ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত ভারতের গুজরাট, রাজস্থানের মরুভূমি এলাকা ও হরিয়ানা প্রদেশ থেকে উট আমদানি করা হয়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, বুড়িমারীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে উট আসে। সেগুলো সেখান থেকে চলে আসছে ঢাকায়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভারত থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এদিকে রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে আড়াই বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে উটের খামার। এছাড়ও মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো, ডিপজল এন্টারপ্রাইজ, কেরানীগঞ্জ অ্যাগ্রোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোরবানি উপলক্ষে উট আমদানি করে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গড়ে ওঠা সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান বলেন, এবার বেশ কিছু উট আনা হয়েছে, আরও কিছু উট আসছে। রাজস্থানের মরুভূমি এলাকা থেকে আমরা এসব উট আমদানি করি। এগুলোকে ‘খরাই উট’ বলা হয়। দামও পড়বে ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকা। প্রতিটি উট থেকে ১১ থেকে ১২ মণ মাংস পাওয়া যাবে। খরাই উটের দু’ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। এক কুঁজবিশিষ্ট এবং দুই কুঁজবিশিষ্ট। তবে আমরা এবার এক কুঁজবিশিষ্টই আমদানি করেছি।

এদিকে রাজধানীর মতিঝিলে দেওয়ানবাগী উটের খামারে গিয়ে জানা যায়, বয়স ও প্রকারভেদে কোরবানি উপলক্ষে এ খামারে ৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে উট বিক্রি হচ্ছে। খামারের তত্ত্বাবধায়ক তসলিম উদ্দিন জানান, তারা ইতিমধ্যে ৪টি উট বিক্রি করেছেন। বিক্রিমূল্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন বছরের উটটি ৮ লাখ টাকা এবং অপর দুটি যথাক্রমে ১০ লাখ ও ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি, অন্যটি বিক্রির প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও জানান, খামারে ৪৫ থেকে ৫০টি উট রয়েছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি উট বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গাবতলী হাট থেকে একটি পুরুষ ও ৯টি মাদি উট কিনে খামারের যাত্রা শুরু। প্রথম খামারে উটের বাচ্চা হয় ২০০৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। এরপর প্রতি বছরই বাচ্চা হচ্ছে। বাচ্চা হওয়ার পর একটি উট ১০-১২ লিটার দুধ দেয়। পাঁচ বছরে একটি বাচ্চা উট পূর্ণবয়স্ক উটে পরিণত হয়। একটি উটে মাংস হয় ১০-১২ মণ। গাবতলীর হাটের পশু বিক্রেতাদের মতে, বছরে দেশে আমদানি হওয়া উটের সংখ্যা ৫শ’র বেশি। এ চাহিদা দেশে উট চাষ করেই মেটানো সম্ভব।

এই বিভাগের আরো খবর