বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেন্সিডিলসহ রাজশাহী জেলা পরিষদের কর্মকর্তা নুরুজ্জামান গ্রেফতার

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, কোল্ড ড্রিংক্সের ৫টি বড় বোতলে ভরে নুরুজ্জামান তার গাড়ীতে করে তরল ফেন্সিডিগুলো রাজশাহীর পথে বহন করে নিয়ে আসছিলো। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাকে ফেন্সিডিল বহনের সরকারি গাড়ীসহ আটক করে। ৫টি বোতলে থাকা ফেন্সিডিলেরর পরিমান কমপক্ষের ৬৫ বোতলের সমান হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, নুরুজ্জামানের সরকারি গাড়ীতে করে ফেন্সিডিল বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এসময় নুরুজ্জামান ওই গাড়ীতেই ছিলেন। তাকে আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দেন। তখন তাকে সার্কিট হাউজে রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, মাদকসহ তাকে আটক করা হয়েছে। এখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হবে নাকি বিভাগীয় মামলা হবে।

তিনি বলেন, এঘটনা থেকে তার ছাড় পাবার কোন সুযোগ নেই। মাদক আইনে মামলা না হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবেই। মাদকসহ আটকের পরও মাদক আইনে নিয়মিত মামলা হবে না কেনো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যেটা চাইবে সেটাই হবে।

রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, টেলিভিশনে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতারের খবর দেখছি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি জানিনা।

জানা গেছে, নুরুজ্জামান ২০১৫ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। সে সময় তিনি নিয়মিত ফেন্সিডিল সেবন করতেন। ফেন্সিডিল সেবন করার জন্য তিনি প্রতিদিন চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সীমান্তে সরকারি ও নিজস্ব গাড়ী নিয়ে চলে যেতেন। সাধারন মানুষের মুখে মুখে ছিলো তার মাদকসেবনের গল্প। তবে তখন গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি রক্ষা পান।

স্থানীয়রা জানান, মাদক সেবন করে প্রায়ই তিনি মানুষকে লাঠিপেটা করাসহ মারামারিতে লিপ্ত হতেন। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিলেন পুঠিয়াবাসী।

এই বিভাগের আরো খবর