শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবতার সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জাপান আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মোঃ জসীম উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার পিছনে একটি গল্প থাকে। তেমনি এক গল্প হলো এটি। অথবা তারও কিছু বেশি। এই গল্প রূপকথাকে হার মানানো এক অপ্রতিরোধ্য মানুষের জীবনযুদ্ধে জয়ী হবার গল্প।

গ্রামের হিমেল বাতাস গায়ে মেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বেড়ে ওঠা মানুষের নাম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। উদ্যোক্তাদের জন্য তিনি বিভিন্ন মানুষদের জন্য এক বড় প্রেরণার উৎস। এদেশে যারা এক হাতে, নিজের যোগ্যতাতেই এতদূরে এসেছেন, তাদের অন্যতম হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। ১৯৮৭ সালে জাপানে পাড়ি জমান জীবন যুদ্ধে হার না মানা এ সৈনিক। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিনের দেশের বাড়ি হচ্ছে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পাথৈর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামে।

নিজ এলাকা, কুমিল্লা ও ঢাকাতেই বেড়ে উঠেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। জীবন খুবই আশ্চর্য ঘটনার সম্মুখীন করে দেয় মানুষকে। মানুষ তার নিজ ভাগ্য বদলের আসায় কতো কিছুই না করছে। কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা, আবার কেউ পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর প্রবাস। দিনথেকে রাত, রাত থেকে দিন এভাবেই পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষ।

এতো পরিশ্রমের পরেও কি সবাই সফল হতে পারে? সবশেষে দেখা যায় গুটিকয়েক সফল মুখ। গুটিয়েকক সফল মানুষদের মধ্যে অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক কার্যক্রম এর সঙ্গেও তিনি জড়িত। অনেক ইচ্ছা দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। তিনি জাপানে বাংলাদেশি একটা কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করেন। কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করা।

জাপানে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনেও তার অনেক অবদান রয়েছে। তিনি জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। জাপানে বাংলাদেশিদের সেবামূলক কাজে সবসময় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। জাপান তথা বাংলাদেশেও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম এ অংশগ্রহন করেন এবং তিনি সর্বদা ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চান এটাই তার ইচ্ছা।

চাঁদপুরেরর কৃতি সন্তান জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘটনা অনেক দেশ ও সংস্থার সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান।

এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। মেট্রোরেল, অ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসহ আরো কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীণ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্ত্বেও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এ বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য।

প্রবাসীদের এক কাতারে নিয়ে আসার মাধ্যমে এবং দেশে সঠিকভাবে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সামিল হতে চাই। তিনি আরো বলেন, দেশে কতটা উন্নয়ন হচ্ছে তা দেশের মানুষই জানে। প্রবাসীসহ দেশের সকল মানুষকে নিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য এক কাতারে দাঁড়াতে চাই।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকটে সবই যখন লন্ডভন্ড, তখনও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিনের অবদান সর্বদা এগিয়ে রয়েছে। ঠিক এমন সময় দেশের বহু বিত্তবান হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও কিছু মানুষ তাদের সহযোগিতার হাত খোলা রেখেছেন ঠিকই। তাদের উদ্দেশ্য আত্মপ্রচার নয়। তারা মানবতার সেবায় নীরবে নিভৃতে সাধারণ মানুষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এই মানবতার ফেরিওয়ালাদের একজন হলেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের ‘মাটি ও মানুষের নেতা’ বলে খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, এই যে দানশীলতা। এটা আমার রক্তে মিশে আছে। এটা আমি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। আমার বাবা আলহাজ¦ মোঃ আব্দুস ছাত্তার প্রধানকে দেখেছি, তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন, তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। তাকে মানুষ দানবীরের উপাধিতে ভূষিত করেছেন। আমি আমার বাবার সেই ধারা বহমান রেখেছি। আমৃত্যু রাখবো।

সবার কাছে দোয়া চেয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, এই ধারাবাহিকতা যেন সকল দুর্যোগে অবশ্যই অব্যাহত রাখতে পারি। আর আমি বিশ্বাস করি, দেশের যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের পাশে আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

এই বিভাগের আরো খবর