বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতভর মাদক সরবরাহে তৎপর রাজশাহী বার ম্যানেজার রাজ্জাক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী পর্যটন (বার) মোটেলের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক অবৈধভাবে মাদক বিক্রিতে এখনো তৎপর রয়েছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনরাত সর্বদা অবৈধভাবে হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এমন কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে কৌশল পরিবর্তন করেন বারের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা। ফলে তরুনদের নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন নগরীর সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কর্মচারি রাকিব ও আরো কয়েকজন কর্মচারি মাদকসেবীদের চাহিদামতো বারের ভেতরে ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকেন। পূর্বেও এভাবে সরবরাহ করলেও দেশে মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে জারিকৃত লকডাউনের সময় সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অতিরিক্ত মাদক সরবরাহ করেছেন তারা। এখনো চলছে সেই কার্যক্রম। নিয়মানুযায়ী রাত ১১টার সময় বার বন্ধের কথা থাকলেও সারারাত ধরে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা হয় বার থেকেই। মাদক সেবীরা বাওে এস সহজেই পেয়ে যান অবৈধ মাদকদ্রব্য।

সূত্র জানায়, দেশে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর রাজশাহী পর্যটন বারের ভেতরেই অবৈধভাবে বিক্রি হতে থাকে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য। বারটিতে শুধু দেশীয় মদ বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও প্রক্যাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি মদ। মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সের নিচের কোনো ব্যক্তি বারে মদ ক্রয় ও সেবন করতে পারবেন না। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে ২১ বছর এমনকি ১৮ বছরেরও কম বয়সী কিশোররা মাদকদ্রব্য ক্রয় করছে এবং নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারটিতে লাইসেন্স ছাড়াও অনেকে অনায়াসে মাদক ক্রয় ও সেবন করে থাকেন। অতিরিক্ত মদপান করে মাতলামি ও অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে মদপান করে মাতলামি ও ভাংচুর করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রমৈত্রীর তৎকালীন সভাপতি জুয়েল ও মহানগর ছাত্রলীগের সহঃ সভাপতি জনি। পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে এখনো মাদকের রমরমা বাণিজ্য অব্যাহত থাকায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নগরীর সচেতন মহল। তারা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসনের অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, বারের বাইরে মদ বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়গুলো আমরা ভালমতো তদারকি করে থাকি। বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, মাদকের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স। কাউকে কোনো ছাড় নয়। অভিযোগ পেলেই তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর