শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতটি অভ্যাস বর্জন করে, ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকুন।

ক্যান্সার এক দুরারোগ্য ব্যাধি। আপনার কাছের কারো ক্যান্সার হয়ে থাকলে তার অবস্থা দেখেছেন আপনি। প্রতিবছর বহু মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগ এখন একটি গ্লোবাল সমস্যা। আপনারও এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। এখানে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে ৭টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দেওয়া হলো আপনাকে।

১. ধূমপান ত্যাগ করুন :

প্রথমেই সিগারেট ত্যাগ করার কথা না বললেই নয়। এটি যে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে তা বলার মতো না। দেহের যে কোষগুলোতে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে, ধূমপান সে কোষগুলোতে ক্যান্সার ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। আপনি যেই হোন না কেন, ধূমপান ত্যাগ না করলে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়।

২. অ্যালকোহল ছেড়ে দিন :

মদ, বিয়ার ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিন। এটি দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অ্যালকোহল পানের সঙ্গে অনেক ধরনের ক্যান্সার জড়িত। যেমন- স্তন ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, গলায় ক্যান্সার ইত্যাদি। অ্যালকোহল আমাদের ডিএনএ-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

৩. খাদ্য তালিকা বদলে ফেলুন :

খাদ্য তালিকা বদলে ফেলে আমরা অনেক সুস্থ জীবন কাটাতে পারি। সবজি, ফল এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা তৈরি করুন। এগুলো বাওয়েল ক্যান্সারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেবে। তা ছাড়া পুষ্টিকর খাবার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, সম্পৃক্ত ফ্যাট এবং লাল মাংসের কারণে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি বাওয়েল ক্যান্সার হয়।

৪. পারিবারিক ইতিহাস জানুন :

বংশ বা পরিবারে ক্যান্সারঘটিত কোনো ইতিহাস রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করে জানার চেষ্টা করুন। যেমন- পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সার থাকলে আপনারও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৫. সূর্যের আলো থেকে নিরাপদ থাকুন :

সকালে সূর্য উঁকি দিলে কার না মন চায় সেই আলোতে বের হয়ে যেতে। এটা ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে ম্যালিগনান্ট মেলানোমার মতো ত্বকের ক্যান্সারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই উত্তপ্ত সময় সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন :

স্বাস্থ্যকর ওজন ভালো, তবে অতিরিক্ত ওজন মোটেও ভালো নয়। নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার বড় একটি উপায়। এ ছাড়া ওজনের সঙ্গে দেহের নানা সমস্যাও জড়িত। দেখা গেছে, বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন অপেক্ষা ৩০ শতাংশ বেশি থাকলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।

৭. রাসায়নিক পদার্থ :

নানা ধরনের খাবার, দূষিত বায়ু এবং দূষিত পানি থেকে আমরা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ করি। এসব পদার্থ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। যেমন- ভবন তৈরির সময় অ্যাসবেসটস নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তা ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য হাতে গ্লাভস, মুখে কাপড় পরে কাজ করা উচিত।

এই বিভাগের আরো খবর