শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিন হয়নি পাগলা মিজানের

ডেস্ক নিউজ :  অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন হয়নি হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে ‘পাগলা মিজানের’। মিজান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার দুই মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু করে। পরে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য মুলতবি রাখেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক; মিজানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মো. জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও মো. আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ না খোলা পর্যন্ত জামিন শুনানি মুলতবি করেছেন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত জানুয়ারি মাসে দুই মামলায় মিজানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে ওই আবেদন করেন।

ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলাকালে গত বছর ১১ অক্টোবর ভোররাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত এলাকা থেকে মিজানকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিজানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

পরে মিজানকে ঢাকায় আনার পর তার কার্যালয় ও বাসায় অভিযান চালিয়ে মোট ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক ও এফডিআর জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় গত বছর ১২ অক্টোবর মিজানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা করে র‌্যাব।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মিজান ভীতি সৃষ্টি করে টেন্ডারবাজি, গরুর হাট দখল, চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার কাছ থেকে জব্দ করা চেক ও এফডিআরের অর্থের বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।

এরপর গত বছর ৬ নভেম্বর মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

এই বিভাগের আরো খবর