স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশে জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নামের পাশে প্রায় সব সময় রেকর্ড ঘুর ঘুর করে। কয়েকটি রেকর্ড তো ইতিমধ্যেই জন্ম দিয়ে ফেলেছেন তিনি। জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন আইসিসি র্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানটি দখল করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি শতাব্দীর দ্বিতীয় সেরা মূল্যবান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মূলত পাঁচ হাজারের বেশি রানের সঙ্গে ২৫০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন এমন সেরা অলরাউন্ডার পাঁচজন যেখানে রয়েছেন বাংলাদেশি আইকন সাকিবও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেরা পাঁচ অলরাউন্ডারের শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার আইকন সনাৎ জয়সুরিয়া। ৪৪৫টি ওয়ানডে খেলে ১৩৪৩০ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। আর উইকেট নিয়েছেন ৩২৩টি!। ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স আর কারও নেই।
দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার হলেন সাবেক প্রোটিয়া তারকা জ্যাক ক্যালিস। যাকে ছাড়া এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দল কল্পনাই করা যেত না। অত্যন্ত পরিশ্রমী এই ক্রিকেটার দ. আফ্রিকার জার্সি গায়ে খেলেছেন ৩২৮টি ওয়ানডে। তার মোট রান ১১৫৭৯। উইকেট নিয়েছেন ২৭৩টি। সেরা পাঁচের তালিকায় দুইজন পাকিস্তানি রয়েছেন। ইমরান খান নন, তারা হলেন সাবেক পাক অধিনায়ক বুমবুম শহীদ আফ্রিদি এবং মিডিয়াম পেসার আবদুল রাজ্জাক।
৩৯৮ ওয়ানডে খেলে ৮ হাজার ৬৪ রান করেছেন আফ্রিদি। আফ্রিদির ঝুলিতে জমা ৩৯৫টি উইকেট। আর আবদুল রাজ্জাক ২৬৫টি ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ৫০৮০। আর উইকেট নিয়েছেন ২৬৯টি। এবার টাইগার সাকিব আল হাসানের পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেয়া যাক। ২০৬টি ওয়ানডে খেলে সাকিব সংগ্রহ করেছেন ৬৩২৩ রান এবং আর তার স্পিন ঘূর্ণিতে ব্যাটসম্যানরা কুপোকাত হয়েছেন ২৬০ বার।
সাকিবের সঙ্গে বাকি চার অলরাউন্ডারের পার্থক্য এটাই যে, সাকিবের এই পারফর্মেন্সে ‘এখনও পর্যন্ত’ শব্দ দুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। আর বাকি চারজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। সে বিচার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফিরে সাকিব তার এই রেকর্ড চূড়ায় নিয়ে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশি সমর্থকদের।