সোমবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘা থানার বিট পুলিশিং এর অফিস ও পুলিশ অফিসারগন

এম ইসলাম দিলদার, রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাঘা থানার পৌরসভা ও ইউনিয়নের জনসংখ্যা এবং অপরাধ প্রবণতা বিবেচনা করে অত্র থানার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে মোট ১৩ টি বিট প্রবর্তন করে ১৩ টি বিট পুলিশিং অফিস স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিটের ইনচার্জ একজন করে পুলিশ এসআই এবং তাকে সহায়তা করার জন্য এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছে।প্রতিটি বিটে একটি করে মোবাইল নম্বর রয়েছে।

বাঘা থানায় বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিট অফিসে এসআই শাহ আলম(০১৩১৯৩০৭৪৩৩),গড়গড়ি ইউনিয়ন বিট অফিসে এসআই কামরুজ্জামান (০১৭২২৯৬২৫১৭),এএসআই শাহ আলম, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিট ,এস আই আব্দুল খালেক(০১৭২৮২৯১৬১৬),এএসআই শাহরিয়ার আলম,মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিট,এস আই নাজমুল হক(০১৭৩৭৭১১৯৫৯),এএসআই লাভলু মিয়া,বাউসা ইউনিয়ন বিট,এসআই আলমগীর হোসেন পিপিএম(০১৭১৮৭৮৬৩৫৫)এএসআই জয়নাল আবেদীন, আড়ানী ইউনিয়ন বিট,এস আই আমিনুল ইসলাম (০১৭২৯৬০৯৫৯৭),এএস আই মাসুদ ইকবাল,চকরাজাপুর ওয়ার্ড বিট,এসআই আতাউর রহমান (০১৭১০৩০২৮১১)এএসআই ওমর ফারুক, বাঘা পৌরসভার সকল ওয়ার্ড বিট অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন,এসআই লুৎফর রহমান (০১৭১৬৯৭০৫৭৮),এএসআই মোসাঃরনি খাতুন,
আড়ানী পৌড়সভার সকল ওয়ার্ড বিট অফিসের দায়িত্বে আছেন,এস আই আশরাফ আলী(০১৭২১৮৪৮১২৭)এএসআই রেজাউল করিম। বাঘা থানার মোট ১৩টি বিট অফিস স্থাপন করা হয়েছে।বাঘা থানার বিট অফিসগুলো ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা কার্যালয়ে অবস্থিত বলে জানান বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম(বার) এর নির্দেশনায় এ কার্যক্রম গতিশীল ও উজ্জীবিত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিট অফিসারগণ বিট এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের কাছে থেকে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যার কথা শ্রবণ করে এবং আইনগত সমাধান প্রদান করবেন।শুধু তাই নয় বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে প্যানডেমিক পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি এবং করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন।
বিট পুলিশিং হলো পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছানোর বলিষ্ঠ ও প্রকৃষ্ট হাতিয়ার। বিটসমূহে এসে অতি সহজেই সংশ্লিষ্ট বিটসমূহের অধিবাসীগণ মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ যেকোনো অপরাধের কথা বলতে পারেন এবং তৎক্ষনাত প্রয়োজনীয় আইনগত সেবা নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো হচ্ছে এবং পুলিশ ও জনগণের মিথস্ক্রিয়া আরও মধুর হয়ে উঠছে।

করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বিট পুলিশিং এর এ কার্যক্রমকে বাঘা উপজেলার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,সুশীল সমাজ,বাঘা রিপোটার্স ক্লাবসহ সাংবাদিকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনসাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বিট পুলিশিং সম্পর্কে বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন,সর্বস্তরের জনগণের জন্য এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ।পুলিশ সদস্যরাই সেবা নিয়ে যাবেন মানুষের কাছে,এতে করে সাধারণ জনগণ তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান পাবে।

এবিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বাঘা থানায় চুরি, ছিনতাই, মাদক দ্রব্যসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও বিট অফিসের মাধ্যমে দাম্পত্য বিরোধ ও সামাজিক বিবাদ নিষ্পত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ সদস্যরা এক যোগে কাজ করে যাবে।

এই বিভাগের আরো খবর