রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধৈর্যশীলদের সঙ্গে মহান আল্লাহ অবশ্যই থাকেন।

প্রতিটি জীবকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে মৃত্যুর মাধ্যমে। জন্ম ও মৃত্যুর অন্তর্বর্তী সময়টুকুর নামই জীবন। তবে মানুষের জীবনের এই গতি সবসময় অনুকূল থাকে না। আবার জীবনপ্রবাহ থেমেও থাকে না। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসব ছাড়া জীবন হতেই পারে না। মূলতঃ এসবের সংমিশ্রণ জীবনটাকে উপভোগ্য করে।

মানুষের জীবন সামান্য ক’দিনের হলেও অমূল্য। হয়তো এ জন্য পথচলার হোঁচট আর ব্যাথাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়- জীবনের মূল্য। শিক্ষা দেয়- আঘাতগুলোকে শক্তিতে পরিণত করে ত্যাগী ও উদ্যমী হতে। জগতে যারা বড় হয়েছেন, তাদের প্রায় সকলেই জন্মের পর থেকে বড় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দুঃখ-কষ্ট সঙ্গে নিয়েই বড় হয়েছেন। অতঃপর সুখ-সমৃদ্ধিতে অবগাহন করেছেন। আজন্ম দুধ-কলায় লালিত-পালিতরা জগতে সম্মান-খ্যাতি অর্জন করেছেন- এরুপ মানুষের সংখ্যা ধরণীতে তেমন একটা নেই।

আমাদের জীবনঘুড়ির সুতো আমাদের কাছে নয়, মহান প্রভুর হাতে। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। সেসব ক্ষেত্রে ধৈর্যহারা না হয়ে সবরের সঙ্গে ঈমান ও তাকদিরের ওপর অটল-অবিচল থেকে দৃঢ়পদে অগ্রসর হওয়াই মানুষের কাজ ও কর্তব্য। দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, ব্যাথা-বেদনা এসবের সমন্বয়েই জীবন। যারা এগুলোকে আল্লাহর ইচ্ছা মনে করে ধৈর্যসহ টিকে থাকতে পারেন, তারাই সফল হন।

ধৈর্য অনেক কঠিন। তাই তার ফলও বেশ সুস্বাদু, অসাধারণ। মহান প্রভুর ভাষায়- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কথা, ‘ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপকতর কল্যাণ কাউকে দেওয়া হয়নি।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম সবরকারীদের জন্য এর চেয়ে উত্তম প্রতিদান, মূল্যবান পুরস্কার, আশার বাণী আর কী হতে পারে?

যে পুরস্কার প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’

-সূরা বাকারা

কোরআনে কারিমের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে।

এই বিভাগের আরো খবর