রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুঁশিয়ার: যারা আয়ারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে!

আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধিঃ
ইদানীং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি তৎপর কিছু ব্যক্তি আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগন্ডা করে যাচ্ছে।

আমরা লক্ষ্য করছি চারদিকে যখন গুন্জন চলছে ডাবলিনে বাংলাদেশী হাইকমিশনার প্রতিষ্ঠা হবে সেই সময় থেকে আওয়ামী লীগের বিরোধী চক্র আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন গ্রুপে ব্যাপক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

আপনারা জেনে থাকবেন যে আমি বিভিন্ন সময়ে ইউরোপের প্রধানমন্ত্রী যখন আসেন জার্মান, হল্যান্ড, ইউকে, ইতালি, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন সমাবেশে ডাবলিনে হাই কমিশনার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশী কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গদের সাথে কথা বলে আসছি।

এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ইউরোপে আসেন উনার সাথে সরাসরি আমি কথা বলি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে একই বিষয় নিয়ে কথা বলি।

আমি থাকি কর্ক শহরে। ডাবলিনে হাইকমিশনার প্রতিষ্ঠা হলে ডাবলিনের লোকজন যেমন সুযোগ সুবিধা পাবে সেই সাথে সমগ্র আয়ারল্যান্ডের বাঙ্গালীরা সুবিধাভোগী হবে। তাই আমার নিজের দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য সবার স্বার্থের জন্যে।

আমরা দেখছি আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতারা আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় দেশের স্বার্থ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে ডাবলিনে বাংলাদেশী হাই কমিকশন নিয়েও।

ওদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে- গত ২১ শে মে আমাদের সাথে অনলাইনে মিটিং হয় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাননিয় জনাব ড. এ,কে, আব্দুল মোমেন স্যারের সাথে এবং উক্ত মিটিং এ উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশী ব্রিটিশ হাই কমিশনার মাননিয় সাইদা মুনা তাসনিম ম্যাডাম, জার্মানের বাংলাদেশী অনারারি কনসুল্যার জনাব ইন্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের সচিব জনাব জামাল আহমেদ এবং উপস্থিত ছিলেন আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির ব্যক্তিত্বগন।

উক্ত সভায় মাননিয় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের জানান যে – BNP ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের বৈদেশিক দুতাবাস দিলি দিন হ্রাস করেছিলো যা মাত্র ৫৪ তে নামিয়েছিলো ! যেখানে বর্তমান মন্ত্রী তা বৃদ্ধি করে ইতিমধ্যে ০৭৭ টি দুতাবাস প্রতিষ্ঠা করেছেন। ডাবলিনের দুতাবাস তৈরী হলে তা হবে ০৭৮ নাম্বার। মন্ত্রী মহোদয়ের ইচ্ছা উনি ক্ষমতায় থাকাকালীন তা ০১০০টি দুতাবাসে উর্ত্তীন করবেন।

প্রশ্ন করতে আওয়ামী লীগ বিরোধীদেরকে যে- আপনারা কোন মুখে ডাবলিনে হাইকমিশন নিয়ে বড় বড় কথা বলতে আসেন ? আগে নিজেদের ক্ষমতায় থাকাকালীন কি করেছিলেন সেই ইতিহাসের দিকে নজর দেন।

আরোও শুনছি যে – BNP এর কতিপয় নেতা বলে বেড়াচ্ছে যে ডাবলিন হাইকমিশন সংবাদটি এখনও সরকারী গেজেটে প্রকাশ হয় নাই!

ওদেরকে বলতে চাই – সরকারী গেজেট বলতে কি বুঝেন ? সরকার কোন প্রকল্প হাতে নিলে তার বাস্তবায়ন করা বা গেজেট প্রকাশ করার আগে অনেক আনুসাঙ্গিক কাজ থাকে এবং তা করার পরেই সরকার তা গেজেটে প্রকাশ করে।

বলতে চাই , ডাবলিনের হাইকমিশন নিয়ে সরকার প্রথমে জরীপ দল প্রেরন করবে, বাজেট তৈরী হবে, দক্ষ লোকজন নিয়োগেসহ বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে, তার উপরে বিশ্বব্যাপী কোরনা ভাইরাস চলছে।

তাই BNP এর কতিপয় নেতাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ বিরোধী ষড়যন্ত্র করা বন্ধ করেন আর আয়ারল্যান্ডের বসবাসরত বাঙ্গালীদের মাঝে বিভ্রান্তকর সংবাদ দেয়া বন্ধ করেন। হটাত দেখা যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি আবার দরদ কাকে মানে আর মানে না মন্তব্য বন্ধ করুন

আমি ২০১৯ এর জানুয়ারীতে বঙ্গভবনে মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি দাবি উন্থাপন করি যেন ডাবলিনে বাংলাদেশী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা হয়।

এবং আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও দেখা করি যেখানে আমি ড্রাফ্টসহ নিয়ে যাই এবং মাননিয় মন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করি।

আর ঐ বছরেই ঢাকার মিন্টুরোডে মন্ত্রী পাড়ায় LGRD সাবেক মন্ত্রীর ইন্জিনিয়ার মোশারফ সাহেবের বাসায় আমি সম্মানিত মাননীয় সংসদ সদস্য সিরাজগঞ্জ ২ MBBS (মমেক) সাবেক আয়ারল্যন্ড প্রবাসী আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন হসপিটালে দক্ষতার সাথে কজ করেছেন বাংলাদেশী চিকিৎসক হিসাবে সুনাম কুঁড়ীয়েছেন , সার্জন, রয়েল কলেজ অফ এডিনবার্গ (FRCS) কার্ডিওথেরাসেক সার্জারি (হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুল) সাবেক চেয়ারম্যান (IPU) প্রফেসর ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত ভাইয়ের সাথেও দেখা করি। সংসদ মিল্লাদ ভাইর অক্লান্ত চেষ্টায় আজ আমরা আশার মুখ দেখছি।আয়ারল্যন্ড প্রবাসীরা ওনার কাছে কৃতগ্য ওনার জোরালো ভুমিকার জন্য ।

শুধু আমি একা নই আয়ারল্যান্ডের বাঙ্গালী অনেক কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা বিভিন্ন সময়ে ডাবলিনে যেন বাংলাদেশী দুতাবাস প্রতিষ্ঠা হয় এই ব্যাপারে কাজ করে আসছেন।

উদাহরণস্বরূপ আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতা “জনাব জসীম উদ্দিন আহমেদ” ভাই উনি ০৮০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে ব্রিটেনের বাংলাদেশী হাইকমিশনে পোষ্ট করে পাঠান এবং ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন যেন ডাবলিনে বাংলাদেশী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।

ডাবলিন আওয়ামী লীগের জনাব মো: ফিরোজ হোসেন, সাধারন সম্পাদক অলক সরকার , রিয়াজ ভাই, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর কুমার ধর, জনাব মুন্না সৈকত ভাই, জনাব দিলদার ভাইসহ অনেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই ব্যাপারে।

আবারোও বলতে চাই ডাবলিনে হাইকমিশন নিয়ে কাজ আয়ারল্যান্ডের সকলের ক্রেডিট।

প্রশ্ন রইলো সকলের কাছে:
তাহলে BNP এবং জামাতপন্থীরা কি করে একা ক্রেডিট নিতে আসে ?
কেন BNP এর কতিপয় নেতা/

জয় বাংলা – জয় বঙ্গবন্ধু

জনাব রফিক খান,
কর্ক সিটি
প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ।

এই বিভাগের আরো খবর