স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সভা আজ। এ সভায় নির্ধারণ হতে পারে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। তাই ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সবার নজর এই সভার দিকেই।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে এই টুর্নামেন্ট পেছানো হবে না বাতিল হবে, নাকি সিদ্ধান্ত নিতে আরও দেরি হবে, তা জানা যাবে আজ আইসিসির সভা শেষেই।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ রয়েছে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া ভারতও চায় দ্রুত সিদ্ধান্ত আসুক। কেননা বিশ্বকাপ না হলে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজন করবে ভারত।
জানা গেছে, আইসিসির অনেক সদস্যই চান না ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হোক। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৬টি টিম অস্ট্রেলিয়ায় জড়ো হবে। এতে নিরাপত্তার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এ ছাড়া জীবণুমুক্ত পরিবেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গেলে খরচও বেড়ে যাবে বহুগুণ। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এতে সামনের টুর্নামেন্টগুলোর সূচিতে আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তনও। তবে সব দিক বিবেচনা করেই বিশ্বকাপের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি।
গত ৮ জুন এসিসির ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। এ সভা শেষে জানা গেছে, চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তানের বদলে হতে পারে শ্রীলংকা। টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক আলাপ-আলোচনা হয়েছে এ সভায়।
পাকিস্তানের বদলে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সবুজ সংকেত পেয়েছে শ্রীলংকা। এসিসির সভা শেষে এ কথাই লংকান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী শাম্মি সিলভা। এশিয়া কাপের ব্যাপারে এসিসির সভায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে টুর্নামেন্টের ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৯ জুন আবারও বৈঠকে বসবে এসিসি। সেখানেই টুর্নামেন্টের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খেলাধুলা আবার শুরু হচ্ছে। ফুটবলের সঙ্গে মাঠে ফিরছে ক্রিকেটও। এরই মধ্যে দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে উড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকার ক্রিকেটাররাও মাঠে ফিরেছেন। আবার খেলা মাঠে ফেরাতে কাজ করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (এসিসি)।
অন্যদিকে জুলাইয়ের পর আইসিসির চেয়ারম্যানের পদে থাকছে না শশাঙ্ক মনোহর। চলে যাওয়ার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে যেতে চান মনোহর। যদি আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে আগামী জুলাই মাসে আইসিসির বার্ষিক সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।