সোমবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাচা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ – মেরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটাই বোধহয় এলো নিজের পরিবার থেকেই। সঠিক সময়ে মোক্ষম চাল। সেই কাজটিই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভাইয়ের মেয়ে মেরি লিয়া ট্রাম্প (৫৫)। চাচা ট্রাম্পের পারিবারিক জীবন, ব্যবসায়ে শঠতা নিয়ে আস্ত একখানা ‘স্মৃতিকথা’ লিখে ফেলেছেন মেরি। মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা সাইমন অ্যান্ড শুস্টার জানিয়েছে, আগামী ২৮ জুলাই ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ : হাউ মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়ার্ল্ড মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান (কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষটির জš§ দিল আমার পরিবার)’ নামের বইটি বাজারে আসবে। বিবিসি।

বই বেচাকেনার বৃহত্তম ডিজিটাল প্লাটফর্ম অ্যামাজনে এরই মধ্যে বইটির একটি চুম্বক অংশ তুলে ধরা হয়েছে। বইটির সংক্ষিপ্ত প্রচারে অ্যামাজন বলেছে, কীভাবে তার চাচা এমন মানুষ হয়ে উঠলেন, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলেছেন- তা তুলে ধরেছেন লেখক। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে নির্দিষ্ট ঘটনা এবং সাধারণ পারিবারিক ধরন বা অভ্যন্তরীণ চর্চাগুলো এমন একজন ক্ষতিকর ব্যক্তিকে নির্মাণ করেছে, যিনি এখন ওভাল অফিস দখল করে বসে আছেন। লেখক বলেছেন, বাবা ফ্রেড ট্রাম্প যখন অ্যালঝেইমারে (স্মৃতিভ্রংশ) ভুগছিলেন তখন আজকের এই দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) তার বাবার সঙ্গে কেমন আপত্তিকর আচরণ করেছেন। স্মৃতিভ্রষ্টতার সমস্যার কারণে তিনি বাবাকে তাচ্ছিল্য, অবহেলা ও ঠাট্টা করতেন।

১৯৮১ সালে ফ্রেড মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান। তিনি তার জীবনের বেশির ভাগ সময় মাদকাসক্তের সঙ্গে লড়াই করে কাটিয়েছেন এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই হার্ট অ্যাটাকে তার অকাল মৃত্যু হয়। চাচা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মেরি ট্রাম্প অনেকটাই নিজেকে লাইমলাইট থেকে সরিয়ে নেন। ২০ বছর আগে একটি মামলার সূত্র ধরে এ দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়তে শুরু করে। মেরি ও তার ভাই তৃতীয় ফ্রেড ট্রাম্প একটি মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেছিলেন- দাদার সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০০০ সালে এ মামলা করা হয়। ঠিক এমনই একটি অস্বস্তি থেকে বাঁচতে ক’দিন আগেই সাবেক জাতীয় উপদেষ্টা জন বোল্টনের একটি বইয়ের প্রকাশ আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে দায়িত্বে থাকার সময়েই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বই লেখেন তিনি। এতে মোটামুটি ট্রাম্প প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের যেন ঘাম ছুটে যাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্য রুম হয়্যার ইট হ্যাপেনড’ শিরোনামে জন বোল্টনের বইটি ২৩ জুন প্রকাশিত হওয়ার কথা। এর আগেই ওই বইয়ের প্রকাশনা আটকে দিতে মামলা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

ফের নির্বাচনে জিততে চীনের প্রেসিডেন্টের সাহায্য চেয়েছেন ট্রাম্প : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ‘দ্য রুম হয়ার ইট হ্যাপেন’ নামে নিজের লেখা সর্বশেষ বইতে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। বোল্টন বলেছেন, গত বছরের জুনে ওসাকা শহরে জি২০ সম্মেলনের সময় ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই নির্বাচনে সহায়তার কথা পাড়েন ট্রাম্প। এ নিয়ে এখন মার্কিন রাজনীতি এখন তোলপাড়। নিউইয়র্ক টাইমস, টাইমস ও এনপিআর। প্রকাশিতব্য নিজের বইতে বোল্টন বলেছেন, গত বছর জাপানের ওসাকায় টি২০ সম্মেলনের পাশাপাশি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকেই নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে জিনপিংয়ের সাহায্য চান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর